উত্তর–ভারতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তীব্র দাবদাহ। রাজস্থানে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৫০ ডিগ্রি। দিল্লির অবস্থাও ভয়ঙ্কর গরম। ঘূর্ণিঝড় চলে যেতেই তাপমাত্রার তেজ বুঝতে পারা যাচ্ছে। তবে এবার ভাল খবর দিল দিল্লির মৌসম ভবন। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী ১ জুন কেরলে ঢুকতে পারে বর্ষা। তার পর সে দ্রুত পশ্চিম উপকূল দিয়ে উঠতে পারে।
বঙ্গোপসাগরের পর এ বার চোখ রাঙাতে শুরু করেছে আরব সাগর। কেরল উপকূল লাগোয়া দক্ষিণপূর্ব আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সেটি ক্রমশ শক্তি বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমন্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১ জুন বর্ষা এসে যাবে কেরলে। মহারাষ্ট্রে তা পৌঁছবে ৮ জুন। গত ২৮ মে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস ছিল ১ জুন কেরলে বর্ষা ঢুকে যাওয়ার সব সম্ভাবনাই রয়েছে। ওই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে মুম্বই থেকে কচ্ছ উপকূলের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।
বেসরকারি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা স্কাইমেটের পূর্বাভাস ছিল ১ জুনের আগেই কেরলে বর্ষা ঢুকে পড়বে। বর্ষা আসবে ২৮ মে। পাশাপাশি এও বলা হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে ৭৫ শতাংশ বৃষ্টি হবে। স্কাইমেটের দাবি, কেরলে বর্ষার আগমনের কথা ঘোষণা করতে গেলে যে যে শর্ত পূরণ করতে হয়, সেই সবই শর্ত পূরণ হয়ে গিয়েছে। একদিকে যেমন হাওয়ার গতি বদলে গিয়েছে, তেমনই রাজ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে ভাল।
মৌসম ভবন কিছুদিন আগে বলেছিল কেরলে বর্ষা ঢুকবে ৫ জুন। পরে জানানো হয়, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্তের জন্য বর্ষা কয়েকদিন আগেই চলে আসতে পারে। এমনিতেই করোনা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত মহারাষ্ট্র। তার ওপরে পালঘর, রায়গড়, থানে, রত্নগিরির মতো জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়। খোদ মুম্বইয়ে ঢুবে যায় বর্ষার জলে। ফলে রাজ্যের সব বিভাগকে বর্ষার প্রবল বৃষ্টির জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।