জেলা

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শ্লীলতাহানি করল তৃণমূল সদস্যার

সেমসাইড গোল বোধহয় একেই বলে!‌ তবে রাজনীতিতে এভাবে সেমসাইড গোল খুব কম দেখা যায়!‌ স্বয়ং জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল। আর আঙুল তুললেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য দপ্তরের স্থায়ী সমিতির এক সদস্যা। তিনিও তৃণমূলের। এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ডেবরা থানায়। ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঠিক কী ঘটেছে?‌ নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, বেশ কয়েকদিন আগে পারিবারিক সমস্যা নিয়ে জেলা পরিষদেরই খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দ্বারস্থ হন তিনি। তখন তাঁকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর দলের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছিল না। আসলে এই কেচ্ছা বাইরে আসুক চায়নি তৃণমূল। ফলে অসহায় অবস্থায় চলতি সপ্তাহেই ডেবরা থানা ও মেদিনীপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। প্রকাশ্যে চলে আসে দলের কেচ্ছার কথা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৫৪ বি, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ডেবরার এসডিপিও সমীর অধিকারীকে। যদিও ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ নির্যাতিতা। গোটা বিষয়টার পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত আছে বলে দাবি করেন অভিযুক্ত খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি। এই ঘটনা হতাশাজনক বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে নির্যাতিতা তফসিলি জনজাতিভুক্ত হওয়ার কারণে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিস আইন ১৯৮৯ যুক্ত করা হয়েছে এই মামলায়। ঘটনার নিন্দা করে তদন্তের দাবি জানিয়েছে জেলা বিজেপি’‌র সহ সভাপতি শুভজিৎ রায়। এই বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে করোনা আবহে এই ঘটনা ঘটিয়ে দলের মুখ পুড়িয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।