করোনা ইস্যুতে আগামী ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা লোকসভা–রাজ্যসভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠকে অংশ নেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ভিডিও কনফারেন্স মারফত হবে এই বৈঠক। এই কথা জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। কেন্দ্রের ডাকা এই বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
দেশ জুড়ে লকডাউনের পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর বিরোধীদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক। যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সংসদে ন্যূনতম পাঁচজন সদস্য আছেন সেই সব দলের নেতারা বৈঠকে আমন্ত্রণ পাবেন বলে জানান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এই বৈঠকে লকডাউন তোলার বিষয়টি আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, করোনা সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দুরত্বের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সফরের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাই ভিডিও কনফারেন্সে এই বৈঠক হবে।
সূত্রের খবর, এদিন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ফোন করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ান এবং লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা ওই বৈঠকে হাজির থাকতে পারছেন না। গত ৫ মার্চ তৃণমূল কেন্দ্রের কাছে সব দলের বৈঠকের দাবি তুলেছিল। করোনা পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সংসদের অধিবেশন বন্ধ রাখারও দাবি তোলা হয়। কিন্তু তখন তৃণমূলের দাবিকে কান দেয়নি সরকার। এখন একমাসেরও বেশি সময় পর সর্বদল বৈঠক ডাকার কোনও মানেই হয় না।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন উঠে গেলে করোনা মোকাবিলায় বিকল্প কী পথ নেওয়া যায়, রাজ্যগুলিকে তা চিন্তাভাবনা করার কথা বলেছেন তিনি। কেন্দ্র ও রাজ্যকে যৌথভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবেও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীদের ওই বৈঠকেও হাজির ছিলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে ছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
