লাইফস্টাইল

মানসিক অস্থিরতা থেকে মোবাইলে আসক্তি

যখন কোনো কাজ করছেন না তখন অনেকেরই অভ্যাস হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো। কারো কারো ব্যাপারটা আসক্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। নিজের অজান্তেই ফেইসবুক করে যাচ্ছেন, চাইলেও যেন থামতে পারছেন না। বিষয়গুলো যদি আপনার সঙ্গে মিলে গিয়ে থাকে তবে সম্ভাব্য কারণগুলোও জানানো হল মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে।

অস্থিরতা আর মোবাইলের মধ্যকার সম্পর্ক

মোবাইল ও অন্যান্য ‘গ্যাজেট’ আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করেছে। তবে সেই ‘গ্যাজেট’য়ের পেছনে বিনা প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে যাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। বিনা কারণেই যদি হাতে মোবাইল তুলে নেন তাহলে আপনার মন যে কখনই শান্ত নয় একথা ধরে নেওয়াটা ভুল হবে না। আপনি শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারছেন না, তাই সামান্যতম অবসরেও আপনার মোবাইল চাই। এই হল মানসিক অস্থিরতা লক্ষণ, যার কারণ হতে পারে মানসিক চাপ।

মানসিক অস্থিরতার অন্যান্য উপসর্গ

মানসিক অস্থিরতা কিছু বিশেষ বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণ যেমন শৈশব ও কৈশোরে। একে অবহেলা করলে তা দীর্ঘমেয়াদে তীব্র মানসিক অস্বস্তিতে পরিণত হয় এবং দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলোতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে থাকে।

‘রেস্টলেসনেস’ বা মানসিক অস্থিরতার আছে অনেক উপসর্গ। এক জায়গার শান্ত হয়ে বেশিক্ষণ বসে থাকতে না পারা এর মধ্যে অন্যতম। সেটা হতে পারে ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে। যা হয় তা হল সামান্য সময় পরেই তারা অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করেন, মানসিক এবং শারীরিক দুই দিক থেকেই। বসে থাকলে তারা হাত কিংবা পা নাচাতে থাকেন। রাতে ঘুমাতেও তাদের সমস্যা হয়।

অস্থিরতা কাটানোর উপায়

সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া আগেই তা দমন করার জন্য প্রাথমিক অবস্থাতেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ধ্যান এক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। মন যদি বিভিন্ন চিন্তায় অস্থির থাকে তবে তা একসময় দুশ্চিন্তায় রূপ নেয়। ধ্যানের অভ্যাস করলে মন শান্ত হবে।

‘ব্রিদিং এক্সারসাইজ’ আরেকটি উপকারী পদ্ধতি। মনকে শান্ত করতে পারে এমন একাধিক ‘ব্রিদিং এক্সারসাইজন’ আছে। যে কোনো একটা দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।

শখের কোনো কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়াও আপনার মনকে শান্ত করতে পারে। রান্না, বই পড়া, বাগান করা, খেলাধুলা ইত্যাদি যেকোনো কিছু হতে পারে।