একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এবার তদন্তকারী সংস্থার নজরে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরি সাহা ও তাঁর শ্যালকের চাকরি। পাশাপাশি বুধবার বিধায়কের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল সিবিআই। এখনও পর্যন্ত অনুসন্ধান করে জীবনকৃষ্ণর নামে আপাতত দশটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে সন্দেহজনক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লেনদেনের যাবতীয় তথ্য ও তার নথিপত্র চাওয়া হবে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত বিধায়ক শুধু যে অর্থের বিনিময়ে বাইরের লোকেদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তা নয়। স্ত্রীর স্কুলের চাকরির নেপথ্যেও রয়েছে বিধায়ক নিজেই। এমনকী শ্যালককেও চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বামী প্রভাবশালী হওয়ায় ইচ্ছা মতন স্কুলে যেতেন টগরি সাহা। অধিকাংশ দিনই তিনি স্কুলে যেতেনই না। অন্যদিকে ফেল করেও নাকি চাকরি পেয়েছিলেন টগরি সাহার ভাই। ফলত এবার সিবিআইয়ের নজরে বিধায়কের স্ত্রী ও শ্যালকের চাকরি।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টানা ৬৫ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। জীবনকৃষ্ণ সাহার নিজের ৮ টি অ্যাকাউন্ট আর স্ত্রী টগরীর ৩ ব্যাংক অ্যাকউন্ট রয়েছে। হিসেব বলছে, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ কোটি ছাড়াতে পারে। পেশায় জীবনকৃষ্ণ স্কুলের শিক্ষক।