শুক্রবার নিমতিতা স্টেশনে গেলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। যেখানে বোমার আঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন। সেখান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। মিলেছে বিস্ফোরকের ধাতব টুকরো। শুক্রবার সিআইডি এবং এসটিএফের কর্তারা বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেন। বিস্ফোরকের অংশ, ছড়িয়ে থাকা রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেন তাঁরা। বিস্ফোরক কতটা শক্তিশালী ছিলেন তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বুধবার হামলার পরেই রাজ্যের শ্রমদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হতে পারে। সুস্থ হলেই তাঁর এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে থেকেই তাঁকে খুনের ছক কষা হয়েছিল। তাঁর সব গতিবিধিই নজরে ছিল আততায়ীদের। ট্রেনে চড়ার কথাও জানা ছিল তাদের। তাই পরিকল্পনা করেই বোমা রাখা হয়েছিল প্ল্যাটফর্মে।
উল্লেখ্য, জাকির মুর্শিদাবাদ থেকে জেতা বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ ছিল, অবাধে পুলিশ–বিএসএফের মদতে বাংলাদেশে গরু পাচার হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদ করায় তাঁকে পাচারকারীরা খুনের হুমকি দিয়েছিল বলেও রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। গোটা ঘটনার পেছনে এই বিষয়টিও অন্যতম কারণ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। জাকিরের বিড়ি কারখানাও রয়েছে। সেখানে কারও সঙ্গে তাঁর কোনও দ্বন্দ্ব ছিল কিনা তাও এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনায় পৃথক সিট গঠন করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাকিরের অবস্থা স্থিতিশীল। মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনের মধ্যে শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় মন্ত্রী ছাড়াও জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মন্ত্রীকে প্রথমে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
