খুন না আত্মহত্যা? এই প্রশ্নই এখন জেলায় বন আকার নিয়েছে। কারণ অস্বাভাবিক মৃত্যু হল উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। একটি চায়ের দোকান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। ৫৯ বছরের দেবেন্দ্রনাথ রায় হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করে ঝোলানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরের বাসিন্দা দেবেন্দ্রনাথ রায়। রবিবার বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তবে রাতে আচমকা নিখোঁজ হন তিনি। বাড়ি না ফেরায় সারারাত ধরে চলে তল্লাশি। তারপরই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল গ্রাম এলাকায় বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এটি খুন নাকি আত্মহত্যার ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে মৃত্যুর সময় ও কারণ জানা যাবে। তাঁর পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে সরব বিধায়কের পরিবার। রবিবার রাতে দেবেন্দ্রনাথবাবুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একদল যুবক। সবাই মোটরবাইকে ছিলেন। ২০১৯ সালে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন হেমতাবাদের বিধায়ক।
মৃত বিধায়কের স্ত্রী তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান চাঁদিমা রায়ের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে দেবেন্দ্রনাথ রায়কে। মৃত্যুর প্রকৃত তদন্তের দাবি জানান, রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।
