টাইটানিকের মতো অতলান্তিক সাগরের গভীরেই সলিল সমাধি হল নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ডুবোযান টাইটানের। ওই যানের সকল অভিযাত্রীকেই মৃত বলে ঘোষণা করল আমেরিকার উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়া সংস্থা ‘ওশানগেট’।
আটলান্তিকের অতলে হারিয়ে গেল টাইটান। যে টাইটানিক দর্শনের জন্য এত ঘনঘটা, সেই জাহাজের মতোই করুণ পরিণতি ডুবোযানের। এই টাইটানেই সওয়ার হওয়ার কথা ছিল লাস ভেগাসের বিনি য়োগকারী জে ব্লুম এবং তাঁর ছেলের। ভাগ্যের জোরেই এক প্রকার প্রাণে বাঁচলেন তাঁরা।
ওশিয়ানগেটে সিইও স্টকটন রাশ বিগত এক বছর ধরে জে-কে টাইটানে সওয়ার হওয়ার জন্য রাজি করিয়েছিলেন। স্টকটনের কথায় খানিক প্রভাবিতও হলেও শেষমেশ পিছিয়ে আসেন তাঁরা। অতলান্তিকে গভীরে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আগ্রহী ছিলেন তাঁর ২০ বছরের ছেলেও।
কিন্তু তাদের পরিবর্তে ডুবোযানটিতে ছিলেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজ়াদা দাউদ এবং তাঁর পুত্র সুলেমান, এছাড়াও ছিলেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, ওশানগেট সংস্থার মুখ্য আধিকারিক স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট।
আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনীর দাবি, সমুদ্রের গভীরে একেবারে ‘দুমড়ে মুচড়ে’ গিয়েছে ডুবোযানটি। ২২ ফুটের ডুবোযানটির পাঁচটি টুকরো হয়ে গিয়েছে। সেগুলিরও খোঁজ মিলেছে। কিন্তু পাঁচ অভিযাত্রীর দেহের কোনও হদিস মেলেনি। তাঁদের দেহ উদ্ধারের সম্ভাবনাও ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসছে বলেও জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।