জেলা ব্রেকিং নিউজ

নন্দীগ্রাম সমীক্ষায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়

এ যেন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এখানে রয়েছে প্রমাণ করার তাগিদ। নিজেই এখান থেকে প্রার্থী হওয়ার ডাক দিয়েছেন। হ্যাঁ, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জায়গাটির নাম—নন্দীগ্রাম। এখানেই চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই একুশের নির্বাচনের নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের গুরুত্ব সর্বাধিক। এই কেন্দ্র থেকে লড়বেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছিল সেখানে। তৃণমূলের অন্যতম বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হল বাড়তি দায়িত্ব। সূত্রের খবর, ভোটের আগে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমীক্ষা শুরু হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই সেই কাজে নামছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এবার সেই নন্দীগ্রামে নিজেদের শক্তি ঝালিয়ে নিতে সার্ভে শুরু করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলবে এই জমি জরিপের কাজ। সেখানে তিনদিন থাকবেন তিনি। নন্দীগ্রামের ব্লকে ব্লকে ঘুরবেন তিনি। কথা বলবেন প্রতি ব্লকের সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসন থেকে তিনি নিজেই দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম আসনে তাঁর নাম চূড়ান্ত করে নেওয়ার জন্য বলেছেন সুব্রত বক্সীকে। আর তাঁকে জেতানোর গুরু দায়িত্ব এখন পড়ল পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের উপর।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে নন্দীগ্রাম থেকে জিতেছিলেন এই মুহূর্তের বিজেপি নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তারপর রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের রাজনৈতিক চিত্রে বদল এসেছে অনেক। তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ দু’‌দশকের সম্পর্কে ইতি টেনে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তারপর থেকেই বারবার তৃণমূলকে হারানোর হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে তাঁর গলায়। ১৮ তারিখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করার পর তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, আধ লক্ষ ভোটে মুখ্যমন্ত্রীকে হারাবেন।
নিজেকে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র বলে দাবি করে আসা শুভেন্দুর সাফ হুঙ্কার, গোপীবল্লভপুরের দিলীপ ঘোষ আর নন্দীগ্রামের শুভেন্দু হাত মিলিয়েছি। ৩৫টা আসনই জিতব। পদ্ম ফুটিয়ে তারপর ঘুমাতে যাব। তাই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, নন্দীগ্রাম প্রাক–নির্বাচনী সমীক্ষা করার। তাঁর কথায়, ‘‌আমি নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রত্যেক বুথে বুথে যাব। বাড়ি বাড়িও ঘুরে জনগণের মতামত শুনব। সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝব।’‌