দেশ ব্রেকিং নিউজ

দিল্লিতে ফিরল অতীত আতঙ্ক

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশ। সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে লকডাউন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এরপরই ফিরে এল পরিযায়ী শ্রমিকদের অসহায়তার সেই অতীত ছবি। ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পরে যে ধরনের ছবি দেখা গিয়েছে বারবার। এবার সেই ছবিই ফের দেখা গেল। এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
কেজরিওয়ালের ঘোষণার পরই গাজিয়াবাদের আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাসে দেখা গেল শ্রমিকদের ভিড়। এই ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব ছিল না পরিযায়ী শ্রমিকদের পক্ষে। কেবল সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাই নয়, বাসের ভাড়া রাতারাতি নাগালের বাইরে চ‌লে যাওয়ার ফলে বাড়ি ফেরা নিয়েই তখন তাঁরা দোলাচলে। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে বাসের চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের অসহায় পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। লকডাউন ঘোষণা করার আগে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল আমাদের কিছুটা সময় দেওয়া। সুযোগ বুঝে চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন। যেখানে ২০০ টাকার মধ্যেই আমরা বাড়ি যেতে পারি, সেখানে খরচ বাড়িয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে!’
গত বছর লকডাউনের ধাক্কায় রোজগারে মন্দা নেমেছে। এই অবস্থায় ফের একটা লকডাউন। আপাতত তা ৬ দিনের জন্য। যদি মেয়াদ বাড়ে তাহলে যে দুর্ভোগ আকাশছোঁয়া, তা বুঝতে পারছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কাজেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া তাঁরা। একই ছবি গাজিয়াবাদ সীমান্তেও। সেখানেও শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের উদভ্রান্ত ভিড়।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলেই মনে করছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার সকালে টুইটে তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু অর্থসাহায্য করা। যদিও সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন‌, করোনা সংক্রমণের জন্য সরকার যেখানে সাধারণ মানুষকেই দোষ দিচ্ছে, সেখানে এমন ‘জনকল্যাণমুখী’ পদক্ষেপ কি সরকার করবে?