জেলা

পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু!‌

মুম্বই থেকে বাড়ি ফিরছিলেন হাওড়ার পাতিহালের বাদুবেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ মইদুল আলি। পরিযায়ী শ্রমিক শেখ মইদুল আলিকে রাঁচির রাস্তায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। দেহ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে জগৎবল্লভপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। পেশায় জরি শিল্পী মইদুল পাঁচ মাস আগে একটু বাড়তি আয়ের আশায় পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের মালাডে। সেখানেই তিনি কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে প্রায় দু’‌মাস তিনি মুম্বইতে আটকে পড়েন। আর হাতের টাকাপয়সা সব শেষ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হল না!‌
গত ২২ মে পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফেরার লক্ষ্য নিয়ে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। মইদুলের স্ত্রী জানান, গত ২৪মে অর্থাৎ রবিবার তাঁর সঙ্গে ফোনে শেষবার কথা হয়। তিনি জানিয়েছিলেন বাস নাগপুরের কাছে রয়েছে। তারপর বেশ কয়েকবার পরিবারের লোকেরা তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাননি। গত সোমবার ঈদের দিনই মইদুলের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মোবাইলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর ব্যাপারে নতুন করে আর কিছু সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৭ মে বুধবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচির কাছে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিবারের লোককে জানায়, তাঁর দেহ রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন ছিল। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবি দেখে তাঁর পরিবারের লোকেরা মইদুলকে শনাক্ত করে। এরপর স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং জগৎবল্লভপুর থানার সহযোগিতায় দেহ আনতে ঝাড়খণ্ডে যান পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার রাতে গ্রামে তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় মইদুলের বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী। মইদুলের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।