চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হতে আর তিনদিন বাকি। কিন্তু ভারতে করোনায় সংক্রমণে হ্রাস তো দূর, বরং তা বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন রূপরেখা তৈরিতে নেমেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বুধবার কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিবকে জানিয়ে দিয়েছে, এখন লকডাউন তোলার পক্ষে নন তাঁরা।
এদিকে ৬০ দিনের লকডাউনের প্রভাব ঠিক কতটা পড়ল, সেই তথ্য এখন এক–জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ১ জুন থেকে পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনকী রাজ্যের দাবিগুলি মেনে চতুর্থ দফার লকডাউনে অনেকটাই ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্র। রেড–অরেঞ্জ–গ্রিন জোন ঠিক করার দায়িত্ব রাজ্যগুলির হাতেই তুলে দিয়েছিল তারা। তারই মধ্যে ২৫ জুন থেকে ঘরোয়া উড়ান পরিষেবাও শুরু করা হয়।
অন্যদিকে ভারতে করোনার সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে মোটামুটি ১৩–১৪ দিনে। এটা মোটামুটি স্থিতাবস্থায় থাকলেও চিন্তার বাড়াচ্ছে কোয়রেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সংখ্যা। ২৬ মে’র হিসেব অনুযায়ী, ভারতে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ২২ লক্ষ ৮১ হাজার ২৫০ জন। ১৪ মে’তে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন সাড়ে ১১ লক্ষের কিছু বেশি। অর্থাৎ মাত্র ১২ দিনে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের সংখ্যাও দ্বিগুণ হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, অভিবাসী শ্রমিকদের চলাচল, বিদেশ থেকে নাগরিকদের উদ্ধার করে আনা আর দেশের মধ্যে ঘরোয়া উড়ান আর ট্রেন চলাচলের কারণে করোনারোগীর সংখ্যা বাড়তই। ছত্তিশগড়, ওড়িশা, বিহার, অসমে রোগী বৃদ্ধির হার বেশ উদ্বেগজনক। এটা হয়েছে অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য। যেভাবে করোনার সংক্রমণ ফি দিন বাড়ছে, তাতে একেবারে লকডাউন কোনওভাবেই তুলে নেওয়ার পক্ষপাতী নন শীর্ষ কর্তারা।
সূত্রের খবর, আরও হয়তো দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে ছাড়ের মাত্রা আরও কিছুটা বাড়তেও পারে। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, মেট্রো আর লোকাল ট্রেন পরিষেবা এখনও বন্ধ রাখাই শ্রেয়।