জেলা ব্রেকিং নিউজ

হাওড়া মেট্রো অনেকটাই প্রস্তুত

সেজে উঠছে দেশের সবচেয়ে গভীরে তৈরি হওয়া মেট্রো স্টেশন। হুগলি নদীর পাশে, অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশনের সঙ্গে জুড়ে তৈরি হওয়া হাওড়া মেট্রো স্টেশনের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। তাই মাটির গভীরে যেতে চাইলে এবার আসতে হবে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে। হাওড়া মেট্রো স্টেশনকে ‘দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে স্টেশন’-এর তকমা দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। হাওড়ার মেট্রো স্টেশন ৩২.০০৪ মিটার (১০৫ ফুট) গভীরে তৈরি হওয়ায় মিলল ‘গভীরতম’র তকমা।

কলকাতা মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্টে হাওড়া স্টেশনকে ‘কি স্টেশন’ বলা হয়েছে। কারণ হাওড়া দেশের মধ্যে ব্যস্ততম। এই স্টেশনের সংযোগকারী মেট্রো যে রীতিমতো ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশে প্রথম নদীর তলা দিয়ে এই মেট্রো যাওয়ার পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন রেল মন্ত্রকের আধিকারিকরা। ৩০ মিটার নদীর গভীর দিয়ে দৌড়বে এই মেট্রো।

হাওড়া থেকে ধর্মতলা পৌঁছতে মেট্রো আছেই। অসংখ্য যাত্রী সড়ক পথের মায়া ছেড়ে পাতাল পথে যাতায়াত করবেন, এই বিষয়ে নিশ্চিত রেল বোর্ডের কর্তারা। জানা গিয়েছে, হাওড়া মেট্রো স্টেশনের গঠন কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। জমি থেকে ১০৫ ফুট নিচে এই স্টেশন। নিচে নামতে চারটি লেবেল ও পাঁচটি স্ল্যাব পেরতে হবে। সিঁড়ি ভাঙতে যাঁদের অসুবিধা তাঁরা চলমান সিঁড়ি ব্যবহার করবেন। থাকছে লিফটের ব্যবস্থাও।

চারতলা এই স্টেশনের দুই ও তিন তলায় আছে কন্ট্রোল ও মেকানিক্যাল রুম। মোট ৩টি প্ল্যাটফর্ম থাকছে। হাওড়া ময়দান হোক বা মহাকরণ যে দিক থেকেই ট্রেন আসুক না কেন, রেকের উভয় দিকের দরজাই খুলে যাবে৷ কারণ যাত্রী চাপ সামলাতে এই ব্যবস্থাই রাখা হচ্ছে। কারণ হাওড়া স্টেশন থেকে যাতায়াত করে রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দীর মতো একাধিক ট্রেন। ফলে কোনও সমস্যা তৈরি হলে দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকত। তাই অত্যন্ত সাবধানে কাজ করতে হয়েছে। মেট্রোর স্টেশন বানানোর কাজ সম্পূর্ণ করা হবে ২০২২ সালের মধ্যে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড।