ঢাকায় হয়ে গেল মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান। বাস্তবতার শক্ত ভিতের ওপর মজবুত অবস্থানে বাংলাদেশ। ফলে কানেক্টিভিটিতে বহুগুণ এগিয়ে যেতে চলেছে বাংলাদেশ। যোগাযোগ ক্ষেত্রে এক মাইলফলক স্পর্শ করল বাংলাদেশ। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ শুরু হবে। সবার আগে বানানো হবে ডিপো। তারপর পাতাল রেলের পথ। স্টেশন–সহ অন্যান্য কাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ২০২৬ সালে পাতাল রেলে যাত্রী পরিবহণ শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বে অন্যতম ব্যয়বহুল সড়কপথও তৈরি হচ্ছে ওপার বাংলায়। পদ্মার দক্ষিণ তীর থেকে যশোর, খুলনা, মোংলা বন্দরের পথে যেন মহাসড়কের রাজকীয় উপাখ্যান। এই তথ্য জানান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক। ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘১২টি প্যাকেজের আওতায় এমআরটি–১ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম পাতাল রেলের পথের নির্মাণকাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও অন্যান্য কাঠামো তৈরি করা হবে। তার জন্য দরপত্র দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে।’
জাপানের উন্নয়নমুখী কারিগরিতে ঢাকার রাজপথে যুক্ত হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। তারই মধ্যে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল। বাকি রইল যাত্রী পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা। এ বার এক সঙ্গে দুই সেট অর্থাৎ ১২টি কোচ জাপান থেকে দেশে আনার পরিকল্পনা করছে সরকার। চলতি বছরের ১১ থেকে ১৪ জুন জাপান থেকে দেশের পথে রওনা দেবে কোচগুলো। ডিএমটিসিএল আশা করছে ১৩-১৪ আগস্ট নাগাদ ১২টি কোচ এক সঙ্গে দেশে এসে পৌঁছোবে।
প্রত্যেকদিন ৮ লক্ষ যাত্রী পরিবহণ করা সম্ভব হবে। রেললাইনটি নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ঢাকা ও তার আশপাশে ছ’টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে বলে খবর। জাপানি মানের নিরাপত্তাব্যবস্থা-সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। থাকবে স্মার্টকার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা। মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম।