রাজ্য

ডাকঘরে উঠে গেল মেসেঞ্জার সুবিধা

বয়স, অসুস্থতা বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। নানা কারণে বহু গ্রাহক পোস্ট অফিসে নিজে যেতে পারেন না। তাঁর হয়ে লেনদেন করেন অন্য কেউ। গ্রাহকের অনুমতিক্রমে যিনি সেই লেনদেনে অংশ নেন, তাঁকে বলা হয় ‘মেসেঞ্জার’। এবার সেই মেসেঞ্জার মারফত আর্থিক লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে। আর তাতে প্রবল সমস্যায় পড়ছেন বড় অংশ প্রবীণ নাগরিক। সমস্যায় পড়তে চলেছেন বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও। মান্থলি ইনকাম স্কিমে টাকা রেখে যাঁরা মাসে মাসে সুদ তোলেন, তাঁদের এবার সশরীরে ডাকঘরে যেতে হবে।

এতদিন মেসেঞ্জার মারফত টাকা তোলার সুবিধা থাকার কারণেই তাঁরা পোস্ট অফিসে টাকা জমা রেখে এসেছেন। সেই সুযোগই যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে পরিষেবা বলতে আর কিছুই বাকি থাকে না। স্বল্প সঞ্চয়ের এজেন্টদের অভিযোগ, সাধারণ গ্রাহক যাতে পোস্ট অফিস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, তার জন্য বিগত কয়েক বছর ধরেই নানা চক্রান্ত চলছে। মেসেঞ্জার মারফত টাকা তোলার সুবিধা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সেই চক্রান্তেরই নতুন সংযোজন মাত্র।

নতুন নিয়মের ব্যাপারে কী বলছে ডাক বিভাগ? তারা দেশের সবক’টি পোস্টাল সার্কেলকে জানাচ্ছে, এখন থেকে কোনও সঞ্চয় প্রকল্পের ম্যাচুরিটি বা মেয়াদ শেষে প্রাপ্য টাকা তোলার অনুমতি মেসেঞ্জারকে দেওয়া হবে না। এখানেই শেষ নয়, আমানত থেকে আংশিক টাকা তোলা বা সুদটুকু তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও যে অনুমতি এতদিন ‘মেসেঞ্জার’দের দেওয়া হতো, সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ফর্মে গ্রাহক মেসেঞ্জারের নাম উল্লেখ করলেও তা গ্রাহ্য হবে না। ডাক বিভাগের নির্দিষ্ট কর্মীর সামনে সই করে বা আঙুলের ছাপ দিয়ে তিনি ওই টাকা তুলবেন।

শারীরিকভাবে অক্ষম বা প্রবীণদের কী হবে? সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি নয়া নির্দেশিকা। সেখানে বলা হয়েছে, প্রবীণ নাগরিক ও প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে অর্থমন্ত্রকে জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনও উত্তর আসেনি। অর্থাৎ তাঁদের ক্ষেত্রে আলাদা কোনও নিয়ম চালু হবে না, তা স্পষ্ট করেছে ডাক বিভাগ।