খেলার মাঠ নষ্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার বিরোধিতায় এবার আন্দোলনে খেলোয়াড়রা। মঙ্গলবার ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান এবং চেয়ারপার্সন কে স্মারকলিপি দিলেন ফুটবল ক্লাবের সদস্যরা।
মঙ্গলবার ধুপগুড়ি ফুটবল ক্লাবের সদস্যরা দেখা করেন পৌরসভার চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মন এবং ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংয়ের সঙ্গে। তারা লিখিত আকারে স্মারকলিপি দিয়ে দাবি করেন সভা করলে খেলার মাঠ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে। সামনেই ফুটবল টুর্নামেন্ট রয়েছে সেটাও করা সম্ভব হবে না এই মাঠে। সবমিলিয়ে অপূরণীয় ক্ষতি হবে খেলার সাথে যুক্ত মানুষদের। তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক সভা করার কারণে খেলার মাঠের যে ক্ষতি হবে, সেই ক্ষতি আগামী দু’বছরেও সংস্কার করে সম্পূর্ণ করা যাবে না। তাই খেলার মাঠে প্যান্ডেল করার বিরোধিতা করে ধূপগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সনকে স্মারকলিপি দেন তারা।
দীর্ঘক্ষণ পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা আলোচনা করে তাদের দাবি তুলে ধরেন। যদিও খেলার মাঠের সভা বন্ধ করা যে এই মুহূর্তে সম্ভব নয় না কিন্তু পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মন। তবে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পাওয়া স্মারকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুরসভার বাকি সদস্যদের সাথে তিনি আলোচনা করবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সিপিএমের মহম্মদ সেলিমের সভা করার জন্য অনুমতি দেয়নি পুরসভা। সেসময় বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিংয়ে সর্বদলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করার জন্য খেলার মাঠ দেওয়া হবে না। খেলার মাঠ শুধু খেলার জন্য ব্যবহার করা হবে।
তাই ফুটবল ক্লাবের সদস্যদের দাবি, এই প্রথম খেলার মাঠ পুরোপুরি দখল করে কোন রাজনৈতিক সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষের সমাগম হবে বলে জানা গেছে। এই সভার কারণে মাঠ অন্তত ৬ ইঞ্চি দেবে যেতে পারে। মাঠের মধ্যে যে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে তার জন্য যে বাঁশ, লোহার সামগ্রী কাটা হচ্ছে তা গোটা মাঠ জুড়ে পড়ে থাকবে। খেলার উপযোগী মাঠ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। দু’বছর ধরে চেষ্টা করেও এই মাঠ সংস্কার করা যাবে না। এই মাঠে কিছুদিন পর ফুটবল টুর্নামেন্ট রয়েছে। সেটার ভবিষ্যৎ ঘোর দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তাই খেলার মাঠে সভা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতেও রাজি বলে জানান।