মস্কোয় চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গির সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই বৈঠক অবশ্য চেয়েছিলেন চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীই। বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে চিন। তাই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেই এই বৈঠকের আহ্বান। বৈঠক শেষে নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করেন রাজনাথ। তিনি জানান, ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের বিষয়বস্তু ছিল লাদাখের উত্তেজনা। তবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কী কথা হল, তার কিছুই বলেননি তিনি।
গত মে মাস থেকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক চেয়েছিল চিন। সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকে যোগ দিয়ে রাশিয়ায় রয়েছেন রাজনাথ। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও সেখানেই। সূত্রের খবর, এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে দু’দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়। আসলে লাদাখ নিয়ে চিন যে বেড়ে খেলবে ভেবেছিল সেটা হয়নি। বরং বিপাকে পড়েছে প্যাঙ্গন লেকে প্রবেশ করে।
এই পরিস্থিতিতে বৈঠক ছাড়া কোনও বিকল্প রাস্তা খোলা নেই। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বৈঠকের সময় চূড়ান্ত হয়। নির্ধারিত সময়ে বৈঠকও হয়েছে। ভারত–চিনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের আলোচনায় মিটিয়ে ফেলা যাবে, এমনটা ভাবা বাড়াবাড়ি। তারপরেও এই বৈঠক যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। ওই বৈঠকের আগেই একটি সভায় রাজনাথ বলেন, ‘বিশ্বাসের আবহ, আগ্রাসী মনোভাব না নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক রীতি মেনে মতবিরোধ দূর করার উপরেই গোটা এলাকার শান্তি এবং নিরাপত্তা নির্ভর করছে। এখানের সদস্য দেশগুলিতে শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীলতা এবং সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে। বিশ্বের ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এই অঞ্চলে বসবাস করে। তাই তাদের আগ্রহের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মতপার্থক্য মিটিয়ে নিতে হবে।’