আন্তর্জাতিক

‘‌ভোটে জালিয়াতি হতে পারে’‌

আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত রাখার ব্যাপারে প্রকাশ্যেই সওয়াল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প এই প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সমালোচনায় বিদ্ধ করছেন বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা। তাঁর দাবি, তিনি নির্বাচনে দেরি চান না। তবে ই–মেলের ভোটগণনা করে ফল বের করতে বছরও ঘুরে যেতে পারে। ট্রাম্পের আশঙ্কা, ‘‌২০২০ সালে সার্বিক ই–মেল ভোটগ্রহণ ব্যবস্থা চালু হলে মার্কিন ইতিহাসে সব চেয়ে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন হবে এবং জালিয়াতি হবে।’‌ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক ৯৬ তিন আগে এই কথাই টুইট করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, ৩ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেনসিয়াল ইলেকশন হওয়ার কথা। টানা দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে মরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী তথা প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। মেজর ন্যাশনাল পোলের হিসেব বলছে, বিডেন দু’‌সংখ্যাংর অঙ্কের ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তাই কী ট্রাম্প এমন ধানাই–পানাই করছেন?‌ মার্কিন মুলুকে উঠছে প্রশ্ন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর টুইটে লিখেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা হবে। যত দিন না জনগণ নিরাপদে, সুরক্ষিত হয়ে, যথাযথভাবে ভোট দিতে পারছেন, ততদিন ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। টুইটে এই বার্তা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা। এরপরই রাজনৈতিক চাপের মুখে পরে নিজের কথা থেকে সরে এসে ট্রাম্প বলেন, ‘‌আমি দেরি করতে চাই না। সময়েই নির্বাচনটা চাই। তবে আমি এটাও চাই না যে তিন মাস অপেক্ষা করার পর এটা দেখা যাক যে সব ব্যালট হারিয়ে গিয়েছে। এভাবে নির্বাচনের কোনও মানে হয় না।’‌