বাংলাদেশ

নতুন বছরে করোনা টিকার আশা ঢাকার

২০২১ সালে হাতে আসবে করোনা–টিকা? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কারণ এমনই আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা প্রথম দফায় বাংলাদেশে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশা তাঁর।
ঢাকায় হাম–রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই তথ্য জানান। করোনা প্রতিষেধক নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের চুক্তি হয়েছিল। বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা এই মুহূর্তে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। মহামারী যুদ্ধে প্রতিষেধক দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ভারত পাশে দাঁড়িয়েছে। সেরামের থেকে ৩ কোটি ডোজ কিনছে হাসিনা প্রশাসনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এখন তা হাতে পাওয়ার অপেক্ষা।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘‌বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের টিকা দেবে, আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ হারে। সেটা আসতে হয়ত কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আমরা টিকা পাব। সরকারিভাবে প্রথম দফায় করোনা প্রতিষেধকের তিন কোটি ডোজ এনে তা মহামারী মোকাবিলায় যাঁরা সামনে থেকে কাজ করছেন, তাঁদের প্রথম বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।’‌
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে শিশুদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে হাম–রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী শনিবার থেকে সারাদেশে হাম–রুবেলার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে, চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচে প্রায় তিন কোটি ৪০ লক্ষ শিশুকে এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে।