শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর কোন কোন নেতা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন তা বুঝতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছেন মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর। কোন কোন নেতার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যোগাযোগ রয়েছে। তা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় নূর ম্যানসনে এই বৈঠক হবে। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন যুব সভাপতি, বর্তমানে জেলার কো–অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ির সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠতা সুবিদিত। পাশাপাশি, মালদা জেলার সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল–সহ ৮ জন বিধায়ক ও সম্ভাব্য বিধায়ক পদপ্রার্থীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। আর তাই শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পর এবার জল মাপতে চাইছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্যদিকে এই বৈঠকে হাজির থাকবেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরাও। দীর্ঘদিন মালদা জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সুবাদে জেলা তৃণমূলের বহু নেতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এমনকী জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসমকেও কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছিলেন তিনিই। এই বৈঠকে তলব করা হয়েছে জেলা কমিটির সকল নেতৃত্বকে।
শুভেন্দু বিজেপিতে যাচ্ছেন নিশ্চিত হওয়ার পর কলকাতায় জেলার নেতাদের নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বৈঠক ডেকেছিলেন তাতে হাজির ছিলেন না মৌসম। তিনি তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যায়। পরে সেই দাবি খণ্ডন করেন মৌসম নিজে। দলের অভ্যন্তরে বিরোধিতা বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের মালদা জেলার চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেন হোসেন ও কো–অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ির দিকে। মোয়াজ্জেম হোসেনকে যখন দক্ষিণ মালদার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছিল, তখন জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মালতীপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও যখন তাঁকে প্রার্থী করা হয়, তাঁর পেছনে শুভেন্দুর হাত ছিল বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর।
সূত্রের খবর, মালদা জেলায় তৃণমূলের সংগঠন কখনোই তেমন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য, ‘শুভেন্দু যাওয়ায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শুদ্ধিকরণ হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে এই শুভেন্দু অনুগামীরাই বিজেপি’র হয়ে ভোট করেছেন। এরা ব্যবসার জন্য তৃণমূলকে ব্যবহার করেন। এদের দেহ তৃণমূলে, মন বিজেপিতে।’