দীপাবলির রাতেই ভস্মীভূত হয়ে গেল আসানসোলের ১০টি বাড়ি–সহ দোকান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত তপসী বাবার মন্দিরের কাছে এই আগুন লাগে। এখানের দোকানগুলি সবই অস্থায়ী ঝুপড়ি ছিল। ফলে মূহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলির মধ্যে একটি ইলেকট্রিক দোকান ছিল। অনুমান করা হচ্ছে সেই দোকান থেকেই শর্টসার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে তিনটি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আসানসোলের পর কুলটির নিয়ামতপুরেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি বাড়ি। লক্ষাধিক নগদ টাকা–সহ পুড়ে ছাই হয়ে যায় বেশ কিছু মূল্যবান সম্পত্তি। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আজাদবস্তি এলাকায় একটি গৃহস্থ বাড়িতে রাতে আগুন লাগে। তবে তখন পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে ছিলেন। ফলে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়।
পূর্ব বর্ধমানের কালনার কৈলাসপুর গ্রামেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পুড়ে ছাই গেল ২০টি কাঁচা বাড়ি। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তা সামাল দিতে হিমশিম খায় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। পরে আরও দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বাড়িতে থাকা বেশিরভাগ জিনিসপত্রই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।