করোনা–ইয়াস আতঙ্কের মাঝেই জোড়া অগ্নিকাণ্ডের খবর। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটল নিউ বারাকপুরের একটি গেঞ্জি কারখানা, একটি ওষুধের গুদাম ও একটি রঙের কারখানায় আগুন। আগুনে প্রায় অর্ধেকটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে হাওড়া গোলাবাড়ি থানা এলাকার একটি পাখার গুদাম। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে কারখানা।
জানা গিয়েছে, আজ কাকভোরেই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটে নিউ বারাকপুরের তালবান্দায়। আগুন লাগে একটি গেঞ্জি কারখানায়। তার পাশেই ছিল একটি ওষুধের গুদাম ও একটি রঙের কারখানা। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছেন। গেঞ্জি কারখানা থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায় পাশের ওষুধের গুদাম ও রঙের কারখানাটিতে। স্যানিটাইজার, রঙের রাসায়নিক ও গেঞ্জির মত দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন এরকম বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেছে। মধ্যে মধ্যে বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ইয়াসের কারণে ঝোড়ো হাওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকলের কর্মীদের। শুধু কারখানা নয় পাশের একটি ওষুধের বিল্ডিংয়ের আগুন ছড়িয়ে যায়। মূলত এখান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। দমকলের অভিযোগ, প্রচুর স্যানিটাইজার মজুত করা ছিল সেখানে।
ঘণ্টা সাতেক ধরে দমকলের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও এখনও কারখানার ভিতর ঢুকতে পারছেন না। গেঞ্জি কারখানাটির ভিতর কেউ আটক থাকার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই কারখানার ৪জন শ্রমিকের কোনও খোঁজ মিলছে না। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজির বসু। তবে ঠিক কীভাবে এই আগুন লেগেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। ইতিমধ্যেই গেঞ্জি কারখানাটি বেশ কিছুটা অংশ আগুনের গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে খবর। আশে পাশে বেশ কিছু ছোটবড় কারখানা রয়েছে। তাই যাতে আগুন না ছড়িয়ে যায় সেকারণেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। কারখানার ভেতরে কয়েকজনের আটকে পড়ার সম্ভবনাও রয়েছে।
ঘণ্টা দুয়েকের প্রচেষ্টায় এখানে অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। গুদামটির প্রায় অর্ধেকটাই পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। গোলাবাড়ি থানার অন্তর্গত, জি টি রোডে একটি পাখার গোডাউনে আগুন লাগে।অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় গোডাউনটি।দমকলের ৯ টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে।প্রায় দু’ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক।