বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। তা সত্ত্বেও রাস্তাঘাটে মাস্ক ছাড়াই ঘুরতে দেখা হচ্ছে বহু মানুষকে। অথচ সমীক্ষা বলছে, মাস্ক পরে সংক্রমণ এড়িয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য কার্যত গোটা বিশ্বেই মাস্ক পরা এখন বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে। নতুন একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, সবাই যদি মাস্ক পরেন, তা হলে অদূর ভবিষ্যতে করোনার নতুন কোনও ঢেউ আছড়ে পড়বে না।
সামাজিক দূরত্ব, বারবার হাত ধোয়া, রাস্তায় বেরোলেই মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। শুরু থেকে সকলে মাস্ক করার কথা বলা হচ্ছে। মাস্ক পরলে যে সংক্রমণ এড়ানো যায় তা বুঝিয়ে দিল আমেরিকার একটি সমীক্ষাপত্র পিএনএএস (দ্য প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অফ সাইন্সেস অফ দ্য ইউএসএ)। এখন বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা দ্বিতীয় ঢেউ বা ‘সেকেন্ড ওয়েভ’। ১০০ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু যখন হানা দিয়েছিল তখন প্রথম ঢেউয়ের থেকে বেশি মারণ ছিল দ্বিতীয় ঢেউটি। তাই করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বেড়েছে।
ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সংক্রমণের হার নাটকীয়ভাবে বদলে গিয়েছে মাস্ক পরার পর। উত্তর ইতালিতে ৬ এপ্রিল ও নিউইয়র্ক সিটিতে ১৭ এপ্রিল থেকে মাস্ক পরা শুরু হয়েছে। তারপরই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। নিউইয়র্কে মাস্ক পরা শুরু হওয়ার পর দৈনিক ৩% কমেছে সংক্রমণের হার। তবে কেমব্রিজ আর গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয় এই সংক্রান্ত নতুন যে গবেষণা করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে আগের থেকে আরও বেশি অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারে মাস্ক। কারণ শুধুমাত্র মাস্ক ঠিকঠাক পরলেই ভবিষ্যতে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পুরোপুরি আটকে দেওয়া যাবে।
গবেষকরা জানান, ভবিষ্যতের প্রাদুর্ভাব আটকাতে গেলে ভাইরাসের পুনরুৎপাদন ক্ষমতা ১–এর নীচে নামতে হবে। অর্থাৎ, একজন সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে যদি গড়ে একজনেরও কম সুস্থ ব্যক্তি সংক্রমিত হন তাহলে ভবিষ্যতে করোনার প্রাদুর্ভাব হবে না। মুখে মাস্ক থাকলে ভাইরাসকে রোখা সম্ভব। বায়ুবাহিত হয়ে ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারেনি। গবেষকরা সাফ বলেছেন, যে কোনও ধরনের মাস্কই মানুষ ব্যবহার করতে পারে। সেটা ক্লিনিক্যাল মাস্ক নাও হতে পারে। এমনি বাড়িতে থাকা কাপড়ের অংশবিশেষকে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। রুমালকেও মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
