করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রথম থেকেই দূরত্ববিধি মেনে চলার এবং মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই বিধি মেনে সুফল মিলেছে বটেই। তবে উল্টো কথা বলছেন ইংল্যান্ডের একদল বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে মাস্কেই ঢাকা পড়েছে মুখ। সংক্রমণের ছোঁয়াচ এড়াতে করোনাবিধি কাজে লাগলেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে শিশুদের উপর। ইংল্যান্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনা আবহে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে অনেকটাই।
তাঁদের মতে, এই বিধিনিষেধের জেরেই শিশুদের শরীরে আরও বেশি করে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন ধরনের রোগ। ফ্লুয়ে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ভায়লোজিস্টরা জানান, এই পরিস্থিতিতে বহু ক্ষেত্রে শিশুদের শরীরে রেসপিরেটরি সিনসিয়াল ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে। যা ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি করে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেক সময় মৃত্যুও হয়। কেন এমন ঘটে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত ১৫ মাস ধরে শিশুরা বিভিন্ন ভাইরাল প্যাথোজেনের সংস্পর্শে আসেনি। ফলে দেহে তাদের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তাই সহজেই ঋতু বদলে ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। দেহে পর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকায় আগামীদিনে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলেই মত। শিশুদের শরীরে হামলা করে এবং তাদের আক্রান্ত করে। কারণ দূরত্ববিধি এবং মাস্কের কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে তখনই শিশু শরীরে থাবা বসায় মারণ ভাইরাস।
শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ হিসাবে মাস্ক, সামাজিক দূরত্বকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। অল্পবয়সী শিশুরা খেলাধুলোর সময়ে বিভিন্ন ভাইরাসের সংস্পর্শে এলেও তা শরীরে খুব একটা প্রভাব ফেলে না। বরং ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠত। কিন্তু একবছরেরও বেশি সময়ে চার দেওয়ালের মাঝেই শিশুরা বন্দি থাকায় সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।