জেলা

মণীশ খুনে গ্রেপ্তার আরও এক

ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত নাসির খানকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। বুধবার ভোররাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডি জানতে পেরেছে যে, খুনের আগে এলাকায় রেইকি করেছিল এই নাসির। সিসিটিভি ফুটেজে অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে দুটি মোটরবাইকে চার আততায়ীর ছবি। ক্যানিং থেকে পাকড়াও করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। ধৃত নাসির খানকে নিয়ে ক্যানিংয়ে যান তদন্তকারীরা। সেখানেই আটক করা হয় দু’‌জনকে।
এখনও আটক রয়েছে আরও দু’‌জন। সিআইডি সূত্রে খবর, মণীশ শুক্লাকে খুনের আগে এলাকায় রেইকি করে নাসির। মণীশকে লক্ষ করে যারা গুলি চালিয়েছিল, সেই শ্যুটারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তার। নাসির নিজে সেদিন গুলি চালিয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
ব্যারাকপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নির্মীয়মান বহুতলেই বসেই খুনের ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। তিন তলায় ৮০০ স্কোয়ারফিট ঘরে বসেই চলে রেইকি। পুলিশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ফ্ল্যাটে আসে। তিন তলার এই ঘরের তালা বন্ধ দেখে অভিযুক্তের মোবাইলে ফোন করতেই মোবাইল বেজে ওঠে ঘরের ভেতরে। তখন তালা ভেঙে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নাম তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।
তদন্তে নেমে জানা যাচ্ছে, তিনদিন ধরে ছায়ার মতো মণীশের সঙ্গে সেঁটে ছিল তিন ভাড়াটে ইনফর্মার। প্রতিটি পদক্ষেপের খবর চুপিসারে চলে যাচ্ছিল আততায়ীদের কাছে। বিন্দুবিসর্গ টের পাননি বিজেপি’‌র নেতা। রবিবার বাড়ি থেকে বেরনো ইস্তক মণীশের গতিবিধি প্রায় প্রতি মিনিটে ফোনে আততায়ীদের রিলে করেছে ইনফর্মার ত্রয়ী। সন্ধ্যেবেলা যে তিনি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গাড়ি থেকে নেমে একাই টিটাগড়ে চায়ের দোকানে যাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে যে দেহরক্ষীরা নেই সেসব খবর সময়মতো পৌঁছে গিয়েছিল ভাড়াটে খুনিদের কাছে। তখন দু’টি মোটরবাইকে চেপে আসা দুষ্কৃতিরা পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় মণীশের দেহ।
উল্লেখ্য, জেরায় উঠে আসে প্রতিশোধের তত্ত্ব। এক দশক ধরে মণীশকে নিকেশ করার ছক কষে চলেছে খুররম। বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিয়ে মরিয়া ছিল সে।