ধসে বিপর্যস্ত মনিপুর। নোনি জেলায় বুধবার যেখানে ধস নেমেছিল ঠিক তার কাছেই আজ আরও একটা ধস নেমেছে বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েকজিনের নাগাড়ে বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি। বন্যায় ভাসছে অসম। মণিপুরে ভয়াবহ ধস। মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরার অবস্থাও ভাল নয়। একাধিক জায়গায় ধস আর জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অসমে। প্রায় ১ মাস ধরে বন্যা চলছে অসমে। শিলচরে যেভাবে বন্যা হয়েছে তা গত কয়েক বছরে দেখা যায়।
মণিপুরের নোনীতে ভয়াবহ ধসে কমপক্ষে ৮১ জন মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান। তার মধ্যে বাংলার ১০ জন রয়েছেন। সকলেই টেরিটোরিয়াল আর্মির। ১০ জনের মধ্যে দার্জিলিং, মিরিক ও কার্শিয়াংঙের মোট ৯ জওয়ান এবং জলপাইগুড়ির বানারহাটের বাসিন্দা এক জওয়ান মারা গিয়েছেন। শনিবার, ১০ জনেরই দেহ বিশেষ বিমানে নিয়ে আসা হচ্ছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে তাঁদের গান স্যালুট দেওয়া হবে। তারপরেই তাঁদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
গত ২ দিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকাজে হাত লাগিেয়ছে ভারতীয় সেনাও। ধসে চাপা পড়ে রয়েছেন ৫৫ জন। শনিবার, ধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তিনি জানিয়েছেন ইতিহাসে এমন ভয়াবহ ধস আগে দেখেনি মনিপুর। আরও ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে উদ্ধারকাজে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ফোন করে খবর নিয়েছেন। সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছেন সেখানে। এনডিআরএফের দুটি অতিরিক্ত কোম্পানি উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।