দেশ ব্রেকিং নিউজ

‘‌আমি ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতার’‌

মাসের পর মাস অফিসে গরহাজির থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষ নন, তিনি আসলে ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতার। গুজরাটের বাসিন্দা রমেশ চন্দ্র ফেফারকে বোঝানোর বহু চেষ্টা করা হলেও তিনি নিজের মন্তব্যেই অনড় ছিলেন। তিনি পৃথিবীতে এসেছেন। তাই গতে ধরা আর পাঁচটা কর্মচারীর মতো ছুটি হলে ওনার চলবে না। এই অদ্ভুত কারণ যে ভুল এবং মানা সম্ভব নয়, তাঁকে বহুবার বোঝানো হয়। তাই সময়ের আগে তাঁকে অবসর দিতে হয়।

এবার তাঁর দাবি, দ্রুত গ্র‌্যাচুইটির টাকা না দিলে গোটা বিশ্বে তিনি খরার সৃষ্টি করবেন! গুজরাটের জলসম্পদ বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন রমেশ চন্দ্র ফেফার। ছয় মাসে মাত্র ১৮ দিন অফিস করার মতো রেকর্ড আছে তাঁর। কিন্তু এখন তিনি অভিশাপ দেওয়ার কথা তুলেছেন। এমন ক্ষমতা রয়েছে নাকি ভগবান বিষ্ণুর কল্কি অবতার রমেশ চন্দ্র ফেফারের। তাঁর দাবি, গ্র‌্যাচুইটি বাবদ ১৬ লক্ষ টাকা এবং একবছরের বেতন বাবদ আরও ১৬ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই টাকা না মেলায় গত ১ জুলাই তিনি জলসম্পদ বিভাগের প্রধান আধিকারিকের কাছে চিঠি লিখে জানান, সরকারে বসে থাকা শয়তানরা তাঁর টাকা আটকে রেখে হেনস্থা করছে। যদি বকেয়া টাকা মেটানো না হয়, তবে তিনি এই বছরই গোটা বিশ্বে খরার সৃষ্টি করবেন।

জলসম্পদ বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, কাজ করেননি। তার ওপর বেতন চাইছেন। কারণ তিনি নাকি কল্কি অবতার ও পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত আনার কাজ করছিলেন। মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য মেয়াদের আগে অবসর পেয়েছিলেন তিনি। কেন উনি অফিস আসতেন না সেই তদন্ত চলাকালীন অবসর কেউ নিতে পারেন না। নিজেকে বিষ্ণুর দশম অবতার বলে দাবি করা রমেশ চন্দ্র বলেন, ‘‌বিগত ২০ বছরে একবারও খরা হয়নি। ভাল বৃষ্টিপাতের জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকা লাভ করেছে দেশ। এরপরও সরকারে বসে থাকা শয়তানরা আমাকে হেনস্থা করছে। আমি বিষ্ণুর দশম অবতার, সত্যযুগে আমার শাসন চলে। আমি এই বছর গোটা বিশ্বে খরার সৃষ্টি করব।’‌