রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর তাঁর পাশেই দাঁড়ালেন তৃণমূলনেত্রী। শুক্রবারই একটি টুইট করে বুঝিয়ে দিলেন এই ব্যাপারে তিনি রাহুল গান্ধীর পাশেই আছেন। তবে তৃণমূলনেত্রী টুইটে রাহুলের নাম উল্লেখ করেননি। অপরদিকে একইভাবে রাহুলের নাম না নিয়েই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণার পর শুক্রবারই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এরপরই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিজেপি বিরোধী দলগুলি এর পিছনে প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখছে। এই আবহেই এদিন টুইট করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাহুলের নাম উল্লেখ না করেই লিখলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই বিজেপির মূল নিশানা হয়ে উঠেছেন। যখন অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপি নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তখন বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার জন্য! আজ, গণতন্ত্র নতুন নীচতায় পৌঁছল”।
মূলত গোয়া বিধানসভা ভোটের সময় থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের তিক্ততার শুরু। এমনকি রাহুল গান্ধীকেও সরাসরি আক্রমণের পথে গিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে কালীঘাটে দলীয় বৈঠকের পর তৃণমূল জানিয়ে দেয় জাতীয় রাজনীতিতে একলা চলবে দল। কিন্তু আদতে দেখা গেল লোকসভার স্পিকার রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করতেই তিক্ততা ভুলে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন মমতা ও অভিষেক। এদিন অভিষেক টুইটে লিখলেন, “গণতান্ত্রিক ভারত এখন সোনার পাথরবাটি”।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অভিষেকও রাহুলের নাম নেননি। তবে কংগ্রেস নেতার সাংসদ পদ খারিজের পরই তাঁর এই টুইট। ফলে বোঝাই যাচ্ছে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এখন দেখার, রাহুলের ঘটনা কি দুই দলকে ফের কাছাকাছি নিয়ে আসে কিনা।