আবার একমঞ্চে সবপক্ষ। প্রতিপক্ষ কেন্দ্রীয় সরকার। সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সরকারের সরকারের বিরোধিতায় একজোট হচ্ছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যৌথ আহ্বানে আজ, বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল বৈঠক করতে চলেছেন একাধিক অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে তাই জোর শোরগোল।
বিরোধীদের নিয়ে এই বৈঠকের জন্য মঙ্গলবারই ফোন করে মমতাকে প্রস্তাব দেন কংগ্রেস সভানেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন, বৈঠকের আলোচ্য বিষয় হোক করোনা পরিস্থিতিতে নিট এবং জেইই–র বিরোধিতা। সোনিয়া সেই প্রস্তাব মেনে নেন বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। ওই বৈঠকে পাঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, পুদুচেরির কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেবেন। যদিও মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন বা কেরলের পিনারাই বিজয়ন কী করবেন এ ব্যাপারে বুধবার সকাল পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে করোনা আবহে নিট ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইনের পরীক্ষা পিছনোর জন্য মোদী সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়াদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁরা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। পরীক্ষা পিছনোর অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রীকে মঙ্গলবার ফের চিঠি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমরা ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। সেখানে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন।
এনটিএ সূত্রে খবর, পূর্ব ঘোষণা মতো ১–৬ সেপ্টেম্বর হবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা। ১৩ সেপ্টেম্বর হবে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা। পরীক্ষা কেন্দ্র সংক্রান্ত নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। বৈঠকে যোগ না দিলেও ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সরকারও জেইই ও নিট নিয়ে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। বিহারেও এনডিএ–এর বিভিন্ন শরিকদলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে বলে খবর। জুলাই মাসে পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা হবে। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ১১ জন ছাত্র। যদিও সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেন।