রাজ্যে পর্যাপ্ত পরীক্ষা হচ্ছে। একদিনে ৮৮৫ জনের পরীক্ষা হচ্ছে। কেন্দ্র যা কিট দিয়েছিলেন, তা ফেরত নিয়ে নিয়েছে। কিট দিতে পারছে না কেন্দ্র। মাত্র ২৫০০ কিট দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কিট আসছে না। এই পরিস্থিতিতে আপনারাই বুঝে নিন। সময় মতো ঠেকাতে না পারলে বিপদ আছে বলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আশঙ্কার সুর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন, এই যে সময়মতো পরীক্ষা না হলে মৃত্যু হতে পারে, তার দায় কে নেবে? কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘শুধু বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যমকে শুধু বাংলার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ পাশাপাশি মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩০০।
মমতা আরও অভিযোগ করেন, পরীক্ষা করতে গেলে দুটি করে কিট লাগে। আর পাঠিয়েছিল একটি করে। ১৪ হাজার কিট প্রয়োজন, কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র ২৫০০। তা সত্ত্বেও বাংলায় পরীক্ষা হচ্ছে পর্যাপ্ত। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলার নামে বলছে, করছে না। এটা ঠিক না। যা দিয়েছিল সবটা ডিফেক্টিভ। র্যাপিড টেস্ট পুরো ভুল। দ্বিতীয় দফায় যে কিট পাঠিয়েছিল, তাও তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। অ্যান্টিজেন কিট বাংলায় পাওয়া যায় না। আমরা টেস্ট করিনি বলে মিথ্যে বলছিল, উত্তর কে দেবে? স্যাম্পেল পরীক্ষার জন্য একটি মিডিয়া লাগে তার সরবরাহ অত্যন্ত কম। আপনারা বুঝতে পারছেন আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে?
