বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের বিধায়ক, সাংসদ এবং জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে দল বিরোধীদের কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কাঁথি, রামনগর–সহ আশেপাশের এলাকায় দলে থেকে যাঁরা দলের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের সরিয়ে দিন। দলীয় বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীকে এই নির্দেশই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
মমতার বার্তা, যাঁদের সাহস আছে, সঙ্গে থাকুন। না হলে লুঠেরাদের কাছে চলে যান। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে দলের মমতা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যাঁরা নেই তাঁদের সরাতে হবে। বিজেপি একাধিক এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। যাঁদের সাহস রয়েছে, তাঁরা আমাদের সঙ্গে থাকুন। না থাকতে পারলে লুঠেরাদের কাছে যান। দলের হয়ে কাজ না করলে দলে থাকতে হবে না।’
কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুকে ফোন কথা বলিয়ে দেন সৌগত রায়। তার পরেরদিনই বেঁকে বসেন শুভেন্দু। সৌগতকে তিনি বার্তা পাঠান, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত হয়নি। এভাবে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।
এদিন মমতা বলেন, ‘ঘরে বসে থাকার সময় আর নেই। ৭ ডিসেম্বর থেকে আমি যেমন প্রচার কর্মসূচি শুরু করছি, তেমনই দলের প্রত্যেক নেতা–কর্মীকে পথে নামতে হবে।’ সূত্রের খবর, বৈঠকে শুভেন্দুর নাম নেননি মমতা। তবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শুভেন্দু অনুগামীদের দলবিরোধী কাজ বরদাস্ত করবেন না। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি শিশির অধিকারীকে তাঁর নির্দেশ, কাঁথি, রামনগর ও আশাপাশের এলাকায় যাঁরা দলে থেকে দলের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের সরিয়ে দিন।
তৃণমূল নেত্রী জানান, ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচি। ৮, ৯ ও ১০ ডিসেম্বর কলকাতায় গান্ধীমূর্তির সামনে কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান করবে তৃণমূল।দলবিরোধী কাজ করলেই কড়া ব্যবস্থার নিতে হবে বলে জানান তিনি।