মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক আর কোনও পদে থাকতে চান না। আর এই নিয়েই এখন জোড়াফুল শিবিরে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এখানেও কী আদি–নব্য তৃণমূলের সংঘাত? কেন তিনি অব্যহতি চাইছেন সমস্ত পদ থেকে? ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন একেবারেই ভিন্ন যুদ্ধ, সেই যুদ্ধের আগে কেন নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইছেন তিনি? গ্রাউন্ড রিয়েলিটি কী অন্য কথা বলছে?
একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী মালদহের সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি দক্ষ সংগঠক দুলাল সরকার। যিনি এবার সমস্ত পদ থেকে অব্যহতি নিয়ে একজন সাধারণ সৈনিক হয়ে থাকতে চান। তিনি যতই বলুন না কেন তৃণমূল তিনি ছাড়বেন না, তবু জল্পনা পিছু ছাড়ছে না। বরং গেরুয়া শিবিরে যেতে পারেন তিনি বলে অনেকে বলছেন।
উল্লেখ্য, দুলালবাবু ১৯৯৫ সাল থেকে ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর। টানা পাঁচবার তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব সামলেছেন দুলাল সরকার। পাশাপাশি দলের সংগঠনিক কাজকর্মেও দেখভাল করেছেন। এখন তিনি সব পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইছেন। যদিও দুলালবাবু বলেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তে চাই না, ছাড়তে পারবও না। শুধু আর কোনও পদে থাকতে চাই না আমি।’