দেশ ব্রেকিং নিউজ

‌রেকর্ড ভোটে জিতলেন মমতা

ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবাসরীয় সকালে ভবানীপুরের আকাশের কালো মেঘ সরতেই দেখা গেল বাংলার জননেত্রী স্বমহিমায় উজ্বল। তাঁর আগের জয়ের ব্যবধান তো তিনি টপকেছেনই, ভোট শতাংশের বিচারে সর্বকালের অন্যতম বড় জয়ের রেকর্ডও গড়ে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০১১ উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৪ হাজার ২১৩। এবার সেই ব্যবধান টপকে গিয়ে মমতা ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে। ২০১১ সালের থেকে মমতার জয়ের ব্যবধান বাড়াটা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় সাফল্য। ২০১৬ সালে মমতা যখন ভবানীপুর থেকে জিতলেন তখন ভোট পড়ে ১,৩৭,৪৭৫। মোট ভোটারের ৬৬.৮৩ শতাংশ। সেসময় ২৬ হাজার ২৯৯ ভোটে কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সীকে হারিয়েছিলেন মমতা। গত এপ্রিল মাসে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যখন এই কেন্দ্রে জিতলেন, তখন ভোট পড়েছিল ১,২৭,৫৩৬। মানে ৬১.৭৯ শতাংশ। শোভনদেব জিতেছিলেন ২৮,৭১৯ ভোটে। এবারে ভোট পড়েছে মাত্র ৫৭ শতাংশের সামান্য বেশি। অর্থাৎ আগেরবারের থেকে অনেকটাই কম। তা সত্ত্বেও তৃণমূল নেত্রীর জয়ের ব্যবধান আগের সব নির্বাচনের থেকে হাজার হাজার বেশি।

দেখতে গেলে মমতা নিজেই নিজের অতীতের রেকর্ড ভাঙলেন। যে ব্যবধানে তৃণমূল নেত্রী জিতলেন, সেটা হয়তো খুব একটা সহজ ছিল না। কারণ, সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনেও ভবানীপুরে বিজেপি ৪০ হাজারের উপরে ভোট পায়। এবারেও বিজেপি চেষ্টার কোনও কসুর করেনি। ভবানীপুরে একটা বড় অংশের ভোটার হিন্দিভাষী। তাঁদের টার্গেট করেই অবাঙালি প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। কিন্তু ভোটে জিতে মমতা বলেন, ‘‌আমি ভবানীপুরের মানুষের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। ভবানীপুরে কোনও ওয়ার্ডে হারিনি। নন্দীগ্রামে চক্রান্ত হয়েছিল।’‌

আসলে এই ভবানীপুরের ভোটপ্রচারে গিয়েই ‘বি ফর ভবানীপুর, বি ফর ভারত’ স্লোগান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেছিলেন, ‘ভবানীপুরের পর খেলা হবে সারা দেশে।’ অর্থাৎ, তৃণমূল কংগ্রেস মমতাকে রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় স্তরের প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। একলাফে নিজেদের দেশের প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেসও।