রাজ্য লিড নিউজ

অমিত শাহর নির্দেশেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর হামলা, বললেন ক্ষুব্ধ মমতা

ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতানেত্রীদের ওপর হামলার ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালেই তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে যান আহতদের খোঁজ খবর নিতে। ত্রিপুরায় আহত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতানেত্রীদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। তাঁদের দেখতেই এদিন সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন মমতা। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বাইরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনেই এই হামলা। তাঁর অভিযোগের তির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ‘ওদের দেখলাম। ওদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। জয়ার গাল মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে। পুলিশের সামনেই মারধর করা হয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী নন, হামলা চালানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে। অভিষেককেও টার্গেট করা হচ্ছে’।

এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে যেন পাত্তাই দিতে চাননি মমতা। তাঁর অভিযোগের যাবতীয় অভিমুখ ছিলেন অমিত শাহ। মমতার কথায়, ‘আমি বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। নইলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অত সাহস হতে পারে না’। তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপির গুন্ডারা সর্বক্ষণ অনুসরণ করছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অমিতের নির্দেশেই সারাক্ষণ অভিষেকের সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে রয়েছে তাঁরা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ত্রিপুরায় দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন অভিষেক। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি কর্মীরা তাঁর গাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে মমতার দাবি, অভিষেকের প্রাণ সংশয় হতে পারতো, তাঁর মাথায় আঘাত লাগতে পারতো। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। বাংলাভাষী ওই রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক থেকে কুনাল ঘোষ দাবি করেছেন এবার ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল।