পেট্রোল–ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বেনজির প্রতিবাদের পর কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উচ্চস্বরে বললেন, ‘মোদী সরকার কবে দেশটাকেই বেচে দেবে। মোদী সরকার যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে এবং এখনকার দামের মধ্যে বিরাট ফারাক, এটা একটা ভাঁওতা। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস আরও কর্মসূচি নেবে’। একইসঙ্গে গোটা দেশে অন্যান্য বিরোধীদেরও রাস্তায় নামতে অনুরোধ করেন মমতা।
একমাসে তিনবারে ১০০ টাকা দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসেরও। নাভিশ্বাস অবস্থা মধ্যবিত্তের। পেট্রোপণ্যের অভিনব প্রতিবাদে পথে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি ছেড়ে ইলেকট্রিক স্কুটারে করে নবান্ন গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। চালক কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পেছনে হেলমেট পরে সওয়ার মমতা। এদিন হাজরা থেকে ইলেক্ট্রিক স্কুটারে নবান্ন পর্যন্ত যান মমতা। গাড়ির বদলে বাড়ি থেকে হেঁটে হাজরা মোড় আসেন তিনি। সেখান থেকে ইলেকট্রিক স্কুটারে নবান্নে যান। চালকের আসনে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নবান্নে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে পেট্রোলের দাম, ডিজেলের দাম, গ্যাসের দাম বেড়েছে, আমরা তার প্রতিবাদ করছি। একটা গ্যাস সিলিন্ডার ৮০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। গতকাল রাতে আবার দাম বেড়েছে। এখন কেরোসিন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। আমার রাজ্যের ১ কোটি মানুষ কেরোসিনে রান্না করেন। তাঁরা রান্না করার জন্য কেরোসিন পাচ্ছেন না। ফলে সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।’
জ্বালানির লাগামহীন দামবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে মোদী সরকারের নামবদল নীতি নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল সুপ্রিমো। মোতেরায় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর নামে হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মোদী সরকার দেশবিরোধী। পারলে সব বিক্রি করে দেয়। নাম পাল্টে দেয়। এরা কোনদিন না দেশের নামটাই পাল্টে দেবেন।’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নবান্ন থেকে ফেরার পথেও তিনি একইভাবে স্কুটারে ফিরবেন।