বিনামূল্যে রাজ্যবাসীকে করোনার টিকা দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জেলার পুলিশ কর্তা ও স্বাস্থ্য কর্তাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা যে চিঠি গিয়ে পৌঁছেছে, তাতে করোনাযুদ্ধে রাজ্যবাসীকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে বিনামূল্যে। তাতে প্রাধান্য পাবেন প্রথমসারির করোনা যোদ্ধারা। চিঠিতে এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তার ব্যবস্থাপনা করার কথা তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা চিঠি পৌঁছেছে রাজ্যের প্রত্যেক জেলার পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের কাছে।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের সরকার রাজ্যের সব মানুষের কাছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।’ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমানের পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি গিয়ে পৌঁছে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আসছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’। কীভাবে তা বণ্টন করা হবে, তার রূপরেখা স্থির করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রথম দফায় রাজ্যের প্রথমসারির ৩ কোটি করোনা যোদ্ধা পাবেন প্রতিষেধক। পরে ধাপে ধাপে শিশু, বয়স্কদেরও টিকা দেওয়া হবে। তবে তার সঙ্গে রাজ্যের সমস্ত মানুষকেও বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ভাবনার কথা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার টিকাকরণের জন্য যে তালিকা তৈরির প্রস্তাব রাজ্যগুলিকে দিয়েছে, তার শীর্ষে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপর তালিকায় ক্রমান্বয়ে রয়েছেন সাফাইকর্মী, পুরকর্মী, পুলিশ, জেলকর্মী, হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার প্রমুখ। একইসঙ্গে বয়স্ক মানুষ, যাঁদের কো–মরবিডিটি রয়েছে, টিকাকরণে তাঁদেরকেও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী ১৬ তারিখ থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ। কীভাবে কাজ হবে, সেই পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে সোমবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যেও। তার ঠিক আগে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে চেয়ে জেলাগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।