রাজ্য

‘‌কৃষকরাই দেশের আসল নায়ক’‌

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার নয়া কৃষি আইন নিয়ে ধাক্কা খেতেই দিল্লির আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাণাঘাটে সভা করতে যাওয়ার আগে তিনি লিখেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা। জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, এই স্লোগান তাঁরই অবদান। কৃষক ভাই ও বোনেদের জন্য সবাই গর্বিত। কৃষকরাই দেশের আসল নায়ক।
এই টুইটে আপ্লুত কৃষকরা। তাঁরা তৃণমূলনেত্রীকে পাশে চেয়েছিলেন। ফোনে কথা বলেছিলেন। এমনকী দলের সাংসদদের পাঠিয়েছিলেন সিংঘু সীমান্তে। এদিন তাঁর টুইটের পর কৃষকরা গর্জে উঠে জানান, অবিলম্বে কৃষক–বিরোধী আইন প্রত্যাহার করে নিতেই হবে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের তিন নয়া কৃষি আইন নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে এই নয়া আইন কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি না মানা হলে বিক্ষোভ–আন্দোলন ওঠার প্রশ্নই নেই। তার মধ্যেই এই টুইট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শুনানি যতটুকু এগিয়েছে, তার ভিত্তিতে বলা যায়, ইতিমধ্যেই কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে জানায়, কৃষি আইন কার্যকর করা নিয়ে কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনের মধ্যে যে বিবাদ চলছে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান চায় সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কৃষি আইন যেন এখন স্থগিত রাখা হয়। কৃষকদের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য সরকার যেন সময় নেয়।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কেন্দ্রের আট দফা আলোচনার পরেও রফাসূত্র অধরাই থেকেছে। আইন প্রত্যাহারে নারাজ মোদী সরকার। বিক্ষোভকারী কৃষকরাও জানিয়ে দিয়েছেন, আইন ওয়াপসি না হলে তাঁরা ঘর ওয়াপসিও করবেন না। এই পরিস্থিতিতে আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, কৃষি আইনের বৈধতা–সহ যাবতীয় আবেদনগুলিকে একত্রিত করে শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১৫ জানুয়ারি বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের নবম দফার বৈঠক রয়েছে।