এবার বিধানসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ভবানীপুর আসন থেকে লড়াই করছেন না তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করার পরই শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, তৃণমূল নেত্রীকে একটাই আসন থেকে প্রার্থী হতে হবে। আর তাঁকে আমিই গোহারা হারাবো। এবার সেই চ্যালেঞ্জেরই জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর সেখানে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ঘোষণা করেছিলেন, ‘ভবানীপুর আমার বড় বোন। মেজো বোন নন্দীগ্রাম। আমি যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়! ভাবছিলাম। একটু ইচ্ছা হল, একটু মনের জায়গা। গ্রামীণ জায়গা। সুব্রত বক্সিকে বলছি, এটা আমার অনুরোধ। ভবানীপুরকে উপেক্ষা করছি না। বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।’
দলনেত্রীর ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়ার পর নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, দু’জায়গায় দাঁড়াতে দেব না। আপনাকে নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে। পদ্ম ফুল নিয়ে যে দাঁড়াবে আধ লাখ ভোটে হারাব। ওই সব সমালোচনার জবাব দিতে চলেছেন মমতা। শুধু নন্দীগ্রামেই তিনি লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মমতা।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভবানীপুর আসনটি দলনেত্রীর জন্য ছেড়েছিলেন সুব্রত বক্সি। ওই আসনে উপনির্বাচনে জিতেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে ২৫ হাজারের বেশি ব্যবধানে জিতেছেন। তবে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে সেখানে মাত্র ৩১৬৮ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। মমতার কাছে ভবানীপুরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হতে পারে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
