বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই ঘাসফুল শিবিরে ভাঙন বাড়ছে। শাসকদলের অনেক নেতানেত্রীই দলবদল করেছেন। হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের পতাকা। এবার অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের রাজ্য সম্মেলনের অনুষ্ঠানে সেই সমস্ত দলত্যাগী নেতানেত্রীদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কয়েকটা চোর–ডাকাত অনেক টাকা করে ফেলেছে। তারা গোবর্ধনের কাছে টাকা জমা দিতে যাচ্ছে। চিন্তা কিছু নেই। ওইসব চোর– ডাকাতকে আমি টিকিট দিতাম না।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগী নেতাদের সরাসরি চোর–ডাকাত বলায় তাঁদের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আর তাঁদেরকেই বিজেপি সাদরে আমন্ত্রণ করেছে। সুতরাং বিজেপি অপরাধীদের আশ্রয় দিয়েছে বলে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, নির্বাচনের সময় অনেক কথা বলা হয়। কিন্তু কার্যকরী হয় না। আমরা করে বলি। ওরা যা বলে করে না। টাকা দেবে ওরা। খেয়ে নিন। টাকা দিয়ে যেন ভোট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এজেন্সি দিয়ে বেঁচে থাকুক বিজেপি। আমরা আপনাদের হৃদয়ে বাঁচব।
সোমবারের অনুষ্ঠানে আরও একবার বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, ‘কোভিডের সময় আমি নিজেও রেশন দোকানে ঘুরেছিলাম। একটা–দুটো রেশন দোকানে গন্ডগোল হয়েছে। তা নিয়ে অনেকে মিথ্যা কথা রটিয়ে দেয়। হামলাও করেছে। হিংসুটে লোকেরা কাজ নেই, কর্ম নেই কৈকেয়ী, মন্থরার মতো অশান্তি লাগায়। কেন্দ্র বাংলায় ‘পচাধসা’ চাল পাঠায়। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার কৃষকদের থেকে কম পরিমাণ চাল কেনা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নির্বাচনের সময় নারদ কাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। তখন প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আগে জানলে এদের টিকিট দিতাম না। এবার পিকে’র সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের টিকিট দিতেন না বলে শোনা গিয়েছিল। বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই লেগেছে। তাই তারা দলছুট হয়েছে। এবার এদেরই চোর–ডাকাত বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
