হলদিয়ার জনসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল সু্প্রিমোর ভাষণে নাম না করে অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ উঠে এল। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অথচ তাঁকেই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে গেলে অনুমতি নিতে হত। তিনি এদিন বলেন, ‘মেদিনীপুরের কিছু গদ্দারকে পুষেছিলাম। যাদের পছন্দ হত না, তাকেই জেলে ভরত। পাঁশকুড়া আনিসুরকে জেলে পাঠিয়েছে। এই আনিসুরের মোটরবাইকেই নন্দীগ্রামে পৌঁছেছিলাম যখন সিপিএমের হার্মাদরা আমাকে আটকেছিল।’
আসলে গদ্দার বলতে তিনি শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারকেই নিশানা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘বিজেপির মতো বড় তোলাবাজ কোথাও নেই। যাঁরা তোলাবাজ ছিল, টাকা বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়েছে। আগে পূর্ব মেদিনীপুরে আসতে অনুমতি নিতে হত। আপদ বিদায় হয়েছে, বেঁচে গিয়েছি।’
এদিন টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করে তিনি জানান, ওরা ভোটের আগে টাকা দেবে। ভোট কিনতে চাইবে। বাইরে থেকে গুণ্ডারা এসে টাকা দেবে। মনে রাখবেন সেই টাকা আপনার। আপনারই দেওয়া ট্যাক্সের টাকা। তবে ওরা যে টাকা দেবে সেটা তো আপনাদেরই। তাই ওই টাকা নিয়ে নেবেন। তার পর ভোটটা তৃণমূলকেই দেবেন। তৃণমূল ক্ষমতার এলে কৃষকদের ১০ হাজার টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেন নেত্রী। হলদিয়ার সভায় তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকে ভোট দিলে রেশন বাড়িতে পৌঁছে যাবে। মে মাস থেকে মা–বোনেদের মাসে মাসে ৫০০ টাকা হাত খরচ।’