কালনার জনসভা থেকে দলত্যাগীদের মায়ের কুসন্তান, দুষ্টু গরু বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে রাজীব–শুভেন্দুকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার কালনায় বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ ফুটবল গ্রাউন্ডে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো দলত্যাগীদের কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘নিজেদের দুর্নীতি চাপা দেওয়ার জন্য কয়েকটা দুষ্টু গরু হাম্বা হাম্বা ডাকতে ডাকতে ইধার–উধার করে বেড়াচ্ছে। যারা গেছে ভাল হয়েছে। পাপ বিদায় হয়েছে। আমি মনে করি, যাঁরা তৃণমূলে থেকে তৃণমূলের খারাপ করে তাঁদের এই দলে থাকার প্রয়োজন নেই। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁরাই করবে যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করবে।’
দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে দুষ্টু গরুর দরকার নেই। দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। মা ছেলেদের খাইয়ে–দাইয়ে লালনপালন করবে। আর তার পর মা যখন অসুস্থ হয়ে পড়বে বা মায়ের যখন খাদ্যের প্রয়োজন হবে তখন তুমি তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। এরকম কুসন্তান কখনও সুসন্তান হতে পারে না।’ মুখ্যমন্ত্রী যখন নাম না করে দলত্যাগী শুভেন্দু–রাজীবকে মায়ের কুসন্তান বলে কটাক্ষ করছেন, তখন তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, কুসন্তান হলে তো আপনিই জন্ম দিয়েছিলেন। লালনপালন করেছিলেন। সাংসদ বানিয়েছিলেন।
কালনা ও সংলগ্ন এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কালনা–কাটোয়া আমাদের কাছে অনেক পুরনো শহর। কালনাকে নদিয়ার শান্তিপুরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ১১০০ কোটি টাকার সেতুর কাজ চলছে। এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে মাত্র কয়েক মিনিটে আপনারা শান্তিপুর, নবদ্বীপে চলে যেতে পারবেন। নতুন করে ইসকনের মন্দির তৈরিতে ৭০০ একর জমি দেওয়া হয়েছে। নবদ্বীপকে হেরিটেজ শহর হিসেবে ঘোষণাও করা হয়েছে। আগামীদিনে কালনার জন্য নিশ্চয়ই ভাবব।’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি অভিভাবক’ হয়ে সবাইকে রক্ষা করবেন বলেও আশ্বাস দেন। আর বলেন, ‘তৃণমূলে কেউ অন্যায় করলে, আমি আছি অভিভাবক। কেউ অন্যায় করলে বলবেন, গালে দুটো থাপ্পড় মারব। কান মুলে দেব। জিজ্ঞাসা করব কেন এমন করল?’
