হুইল চেয়ারে করেই রাজ্যের জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার নরেন্দ্র মোদীর বাঁকুড়ার সভার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার পৌঁছলেন একই জেলার কোতুলপুরে। সেখান থেকেই তিনি আবেদন করলেন, ‘সকলে মনে রাখবেন, এটা বাংলার নির্বাচন। দিল্লির নির্বাচন নয়। বিজেপি ভোট এলেই নানা কথা বলে, কিন্তু ওদের থেকে জানতে চান, নির্বাচনের আগে ১৫ লাখ টাকা দেবে বলেছিল, দিয়েছে?’
কোতুলপুরের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘গদ্দার–হার্মাদরা এখন বিজেপির ওস্তাদ। বিক্রমপুরের গ্রামে কী অত্যাচার চালিয়েছিল কখনও ভুলব না। চমকাইতলায় বাসে গুলি চালিয়েছিল, বাস ভাঙচুর করেছিল। সেই অবস্থায় মানুষকে উদ্ধার করে এনেছিলাম। এখন ভোটের আগে বাংলায় বহিরাগত গুণ্ডাদের পাঠিয়েছে, তাই দিয়েই ভোট জিততে চাইছে ওরা। সবার বাড়িতে বাড়িতে রেশন চান তো? সব বাড়িতে-বাড়িতে পরিষেবা চান তো? চিন্তা করবেন না, বাড়ির মেয়েরা সবাই মাসে ৫০০ টাকা করে হাত খরচা পাবেন। ওরা নির্বাচনের আগে অনেক কথা বলে, আর নির্বাচন শেষ হলে পালিয়ে যায়।’
মমতা বারবার এদিন তুলে ধরেন বিজেপির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কথা। বলেন, ‘কালা কৃষি আইন করেছে এই কেন্দ্রীয় সরকার। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে থেকে সব জরুরি জিনিসকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে। গ্যাসের দাম ৪০০ টাকা ছিল, সেটাই আজ ৯০০ টাকা করে দিয়েছে। কিন্তু এরা এতই ঠগবাজ, দেখবেন ঠিক ভোটের আগে গ্যাসের দাম ১০০ টাকা কমাবে, ভোট মিটলেই আবার বাড়িয়ে দেবে। আমি দাবি জানাচ্ছি, মানুষকে বিনা পয়সায় গ্যাস দিতে হবে।’
বিজেপি ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতি নিয়েও এদিন আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘আমরা ৫০ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ দিয়েছি পঞ্চায়েতে, ওরা ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিচ্ছে। আপনারা ভোট দিন, না হলে বিজেপি এনপিআর দেখাবে। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ওরা টুকলি করে। পরিবর্তন বাংলায় হবে না, পরিবর্তন দিল্লিতে হবে। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের হারাতে হবে। সব কেড়ে নিয়েছে ওরা। বিজেপিকে চাই না।’