পুরুলিয়া ২ ব্লকের হুটমুড়া ফুটবল মাঠে মঙ্গলবার সভা করলেন তৃণমূলনেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে সভার পরের দিন পুরুলিয়া থেকেও গেরুয়া শিবিরকে তুলোধনা করেছেন তিনি। আর এখান থেকেই তিনি বলেন, ‘এরা কখনও ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙেন। কখনও রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙে। বাংলা সম্পর্কে কিস্যু জানে না। মিথ্যে কথা বলে ভোট নিয়ে পালায়। বিজেপিকে চাই না। কারণ এরা মাওবাদীদের থেকেও ভয়ঙ্কর। তাই
বহিরাগতদের কাছে মাথা নোয়াবেন না। কাজ করুন, শুধু ধমকালে হয় না।’
বিজেপিকে নিশানা করে ফের বহিরাগত ইস্যুতে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কখনও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, কখনও রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙে। ভোটের সময় বাংলার কথা মনে পড়ে। বাংলাটাও ঠিক করে বলতে পারে না। বাংলাকে বলে বঙ্গাল। মুখে বঙ্গাল, বিজেপি কাঙ্গাল। ভয় দেখিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে কাজে লাগাচ্ছে। সায়নী বলে একজন মেয়ে। ধমকাচ্ছে বিজেপি, এত বড় ক্ষমতা? ক্ষমতা থাকলে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাক। টলিউডের গায়ে হাত দিয়ে দেখাক। নাতনির বয়সি মেয়ে তাঁকে রোজ হুমকি দিচ্ছে। স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার নেই ওর? বাংলায় ধমকালে মুখে লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আটকে দেব।’
এদিন তিনি জানান, লালগড়ে সেতু তৈরি করেছি। ওটা রঘুনাথ মাহাতোর নামে করা হল। তাঁর জন্মদিনটিও ছুটি ঘোষণা করা হল। বিরসা মুন্ডার জন্মদিনের ছুটি দিয়েছি। আদিবাসীদের পরিচিতি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি’র নেতারা নির্লজ্জভাবে ভুলভাল বুঝিয়ে দিল্লি পালিয়ে গেছেন। যাকে ভোট দিয়েছেন তিনি আর আসেন না। কিছুই দেন না। নির্বাচনের আগে মন্ডা–মিঠাই খাওয়াবে। আর নির্বাচনের পর চলে যাবে।
উল্লেখ্য, বুধবার পুরুলিয়ার জয়পুরে পাল্টা সভা করবেন শুভেন্দু। লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া আসন বিজেপি’র দখলে ছিল। বিধানসভা ভিত্তিক ফলে শুধু মানবাজার আসন ছিল তৃণমূলের দখলে। ২০১৬ সালের ফলাফলের নিরিখে পুরুলিয়ার ৯টি আসনের মধ্যে ৭টি দখল করেছিল তৃণমূল।
পুরুলিয়ার রুক্ষ মাটিকে চাষবাসের উপযুক্ত করে তুলতে রাজ্য সরকার ১২ হাজার একর জমির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়ে মমতা জানান, এখানকার জমিতে ফসল ফলবে। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এই জেলায় শিল্পও হবে। লকডাউনের সময় জেলায় ফিরে আসা ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিককে কাজ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ডানকুনি–অমৃতসর প্রকল্পের বিস্তার হবে। প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।