দেশ লিড নিউজ

বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর

সোমবার মন্ত্রিসভার শপথ নিয়েছে। তারপর শনিবার প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠক। আজ শনিবার অধ্যক্ষ মনোনয়নের দিনে বিধানসভা বয়কট করল বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বক্তব্যে কোভিড রুখতে কেন্দ্রের ব্যর্থতাকে নিশানা করলেন। চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে ভর্ৎসনা করলেন। আর বিনম্র হতে বললেন নবনির্বাচিত বিধায়কদের। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন উপস্থিত বিধায়কদের। বাংলা বিজয়ে তৃপ্ত মমতার বলেন, ‘‌বাংলার মানুষ প্রমাণ করেছেন তাঁদের মেরুদণ্ড আছে। বাংলার মেরুদণ্ড আছে।’‌
এদিন তিনি জানান, আমি মনে করি বিধানসভার ঐতিহ্য, ইতিহাস আছে। বিশেষ করে ঐতিহাসিক কাজ হয়ে অনেক বিল পাশ হয়েছে। আমি মনে করি যত বিধানসভা আছে তার চেয়ে এটা কম নয়। অবিশ্বাস্য ঘটনা। মানুষের সাহায্য না পেলে এটা হতে পারে না। বাংলার মা বোনেরাই শক্তি। তারা ইতিহাস তৈরি করেছেন। আমাদের সরকার মা–বোনেদের উন্নতিতে আরও কাজ করবে। যুব সমাজকে অভিনন্দন। বাংলা বাংলার থাকবে কিনা সেটা বেছে নিয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলে জানান, নির্বাচনী সংস্কার হওয়া উচিত। চিরকুটে বদলি করে দিচ্ছে। বাংলার মেরুদণ্ড শক্তিশালী। বাংলার মেরুদন্ড কখনও মাথা নীচু করে না। কত টাকার হোটেল, বিমান ভাড়া, কত টাকা খরচ করেছে। তার চেয়ে ভালো হত ভ্যাকসিন যদি দেওয়া হত। কেন্দ্রের কাছে ৩৫ হাজার কোটি কিছুই নয়। তবুও সকলের জন্যে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেনি। আমরা নিজের পয়সায় ভ্যাকসিন নিতে চেয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত পাইনি। কী অপরাধ করেছে বাংলা! শপথ নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে। বাংলার মানুষের জয় মেনে নিতে পারছে না।
রাজ্যে হিংসার আবহ তৈরি হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। এমনকী রাজ্যপাল এই নিয়ে মুখ্যসচিবকে আজ তলব করেছেন। এই বিষয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌আমি হিংসার পক্ষে নয়। আমি শান্তির পক্ষে। ফেক ভিডিও ছড়াচ্ছে ওরা। আমাকে এক সংঘের নেতা এসএমএস করে মহিলা অত্যাচার হয়েছে বলেন। সেই মেয়ে তো আমার বাংলার। আমি খবর নিয়ে দেখলাম এমন ঘটনা ঘটেনি। একটা মেয়েকে অসম্মান কেন করলেন? জনগণের জয় তারা সহ্য করতে পারছে না।’‌
এরপরই তাঁর নির্দেশ, বিধায়কদের বলব এলাকায় যেন কোনও অশান্তি না হয়। কেউ দাঙ্গা করতে চাইলে এফআইআর করবেন। আরও বিনম্র হতে হবে। জনগণের কাছে পৌঁছতে হবে। করোনা রোগীদের সাহায্য করুন। আমাদের এবারে আরও ভালো কাজ করতে হবে। যাতে অশান্তি না হয় সেদিকে নজর রাখবেন। কোনও দাঙ্গাবাজদের রেহাই নয়।
এবার মেজাজ সপ্তমে চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌নির্বাচন কমিশনের দয়ায় যারা জিতে এসেছিল তারা বয়কট করেছে। শপথগ্রহণও বয়কট করেছে। নির্বাচন কমিশন সাহায্য না করলে ৩০টি আসনও পেত না। ওদের লজ্জা নেই, জনগণ ওদের বয়কট করেছে। তারকাদের অভিনন্দন। সবাই মন দিয়ে বিধানসভা করবে।’‌