এক ঝাঁক তারকা প্রার্থীকে ২০২১ সালের নির্বাচনী–যুদ্ধে সামনে আনল তৃণমূল। সম্প্রতি দলে যোগ দেওয়া একাধিক জনকে তারকাকে প্রার্থী করা হল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানালেন, ‘অনেক তারকাকে আমরা প্রার্থী করেছি।’ বাদ গেলেন না খেলোয়াড়ও। এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় মহিলা, তফশিলি, তারুণ্যে জোর। ৫০–বছরের বেশি মহিলাকে প্রার্থী করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে তপশিলি জাতির ৭৯ জন, উপজাতির ১৬ জন প্রায়। ৫০–বছরের কম বয়সী প্রায় ১০০ জনের নাম রয়েছে তালিকায়। এবার তারকা মুখেও জোর দিয়েছে তৃণমূল। বহু আসনে লড়ছেন টালিগঞ্জের অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
লোকসভা নির্বাচনে অধিকাংশ আসনে খারাপ ফল করেছিল তৃণমূল। কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থী হচ্ছেন, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, উত্তরপাড়ায় প্রার্থী হচ্ছেন কাঞ্চন মল্লিক, ব্যারাকপুরে রাজ চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রামে বীরবাহা হাঁসদা, অদিতি মুন্সী দাঁড়াচ্ছেন রাজারহাট–গোপালপুর থেকে। আসানসোল দক্ষিণে সায়নী ঘোষ, মেদিনীপুরে প্রার্থী হচ্ছেন, জুন মালিয়া, বাঁকুড়ায় দাঁড়াচ্ছেন, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বারাসতে এবারও প্রার্থী হচ্ছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, সোনাপুরে লাভলি মৈত্র, উলুবেরিয়া উত্তরে প্রার্থী হচ্ছেন বিদেশ বসু, সোহম চক্রবর্তী দাঁড়াচ্ছেন চণ্ডীপুর থেকে, মনোজ তিওয়ারী দাঁড়াচ্ছেন শিবপুর। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর অধিকাংশরই প্রতিক্রিয়া, ‘ভালো লাগছে এত বড় একটা দায়িত্ব পেয়ে। দল যেভাবে বলবে সেভাবে কাজ করব।’
একুশের যুদ্ধে প্রার্থী তালিকায় একাধিক চমক জোড়াফুল শিবিরে। মসনদের লড়াই জিততে সিংহাসনের কঠিন অঙ্কে গ্ল্যামারই আরও একবার তৃণমূলের হাতিয়ার। পোড় খাওয়া দুঁদে মন্ত্রী নেতার সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে দু’দিন আগে জোড়ফুলে যোগ দেওয়া তারকারাও। আক্ষরিক অর্থেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা তারকা খচিত। আপেক্ষিক দুর্বল আসনে একের পর এক চমক দিয়ে তারকা প্রার্থীরাই মমতার মাস্ট্রারস্ট্রোক। তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও ‘খেলা হবে’। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রিয় এই স্লোগান শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের মুখে। তিনি বলেন, ‘খেলা হবে, দেখা হবে, জেতা হবে। আমিই সবার আগে বলতাম খেলা হবে। খেলা হবে, দেখা হবে, জেতা হবে। হিন্দিতে, খেলেঙ্গে, লড়েঙ্গে, জিতেঙ্গে।’
কমিশনের সিদ্ধান্তে ফের ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা এদিন তিনি জানান, ২৯৪টি কেন্দ্রে ২৯৪ দফায় নির্বাচন করতে বলুন। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত, হিমাচল থেকে বিন্ধ্য পর্বত পর্যন্ত সমস্ত আধাসামরিক বাহিনী পাঠিয়েও অমিত শাহ কিছু করতে পারবে না। নরেন্দ্র মোদী কিছু করতে পারবে না।