বেশ কিছুটা সুস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বাড়ি যেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। এরপরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত হাঁটাচলা করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। হুইল চেয়ার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। এসএসকেএম হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর হাঁটা চলাও সম্পূর্ণ বন্ধ।
হাপসাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথা কমার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এখনও গোড়ালি ফুলে রয়েছে। পায়ের প্লাস্টার খুলে পরীক্ষা করা হয়েছে দীর্ঘক্ষণ। তাঁকে বিশেষ ধরনের চটি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিন হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখতে যান সমাজসেবী মেধা পাটেকর।
জানা গিয়েছে, তাঁর বাঁ–পায়ের গোড়ালি ফুলে রয়েছে। চিকিৎসকদের কথায়, এই ধরনের আঘাতে সাধারণত দেড়–দু’মাস বিশ্রামে থাকার প্রয়োজন পড়ে। হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঁ–পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতায় সিভিয়র ইনজুরি রয়েছে। ডানদিকের কাঁধে ও কব্জিতে চোট রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন।’
উল্লেখ্য, নেত্রী নিজেই একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন প্রয়োজনে হুইল চেয়ারে বসেই প্রচার চালাবেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা ঠিক যে কাল খুব জোর আমার লেগেছিল এবং আমার হাতপায়ে চোট আছে, বোন ইনজুরি আছে, লিগামেন্টে চোট আছে, কালকে আমার মাথায় ও বুকে খুব যন্ত্রণাও হয়েছে। আমার অনুরোধ, সকলে শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন, ভালো থাকুন। তবে পায়ের প্রবলেম থাকবে সেটা আমি ম্যানেজ করে নেব।’