প্রতি বছর বাঁধ তৈরিতে টাকা খরচ হচ্ছে, আর সেই টাকা জলে চলে যাচ্ছে। এটা কেন? বুধবার নবান্নে সেচ দপ্তরের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে এই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে শতাধিক বাঁধ ভেঙেছে রাজ্যে। বাড়িঘর সব জলের তলায়। আর ইয়াসের পর ঘূর্ণিঝড় কবলিত হিঙ্গলগঞ্জ, সাগর এবং দিঘা ঘুরে দেখে সেচ দপ্তরের কাজে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘার বাঁধ ভাঙার নিয়ে রীতিমতো তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর বাঁধ ঠিক করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কেন ভাঙছে? দায়বদ্ধতার অভাবে ভুগছে। দিঘার জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। দিঘার সৌন্দার্যায়ন নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
বাঁধ ভাঙা নিয়ে সেচ দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিঘায় গাফিলতির জন্য প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিঘার গাফিলতির তদন্ত হবে। সৈকতের রাস্তায় পাথরগুলি ঠিকমতো লাগানো হয়নি। তাই এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। আমফানের সময় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছিল, সেগুলি কোথায় গেল? সেগুলি কীভাবে কাজে লাগাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
এদিন রীতিমতো হোম ওয়ার্ক করেন তিনি। শেষ কয়েক বছর সেচ দপ্তরের দায়িত্ব ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর উপর। তাঁরা দু’জনেই এখন বিজেপিতে। শুভেন্দু আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্বয়ং মমতাকে হারিয়েছেন নন্দীগ্রামে। ফলে সেচ নিয়ে তদন্ত করলে ফাঁসতে পারেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ইয়াসে মোট ৫টি জেলায় মধ্যে মোট ২৯৩টি জায়গা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুন্দরবন–সহ দিঘা থেকে শঙ্করপুর এলাকার বিস্তীর্ণ ১২ কিলোমিটার সমুদ্র ও নদী বাঁধ। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানান, ‘যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে আমাদের এখনই ১৫৭ কোটি টাকা লাগবে সবকিছু ঠিকঠাক করতে।’
