দেশ লিড নিউজ

বাংলায় লকডাউন হচ্ছে?‌ উত্তর দিলেন মমতা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাঁপছে বাংলা। রোজই বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় কি লকডাউন জারি করা হবে? এই নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউন বা নৈশ কার্ফু কোনও সমাধান নয়, করোনার প্রকোপ কমাতে দরকার মানুষের সচেতনতা। আগামী দিনের রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বিপুল সংখ্যক শয্যা বাড়ানোর কথা বলে মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বললেন, ‘‌এখনই লকডাউন জারির কোনও পরিকল্পনা নেই। লকডাউন করলেই কি সব বদলে যাবে? মানুষের অসুবিধা হবে না! নাইট কার্ফু করে কিছু হবে না। নাইট কার্ফু কোনও সমাধান নয়।’‌ সোমবার মালদা থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসায় করোনা সংক্রমণ রোধ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। তবে গতবারের মতো এবারও করোনা রোধ করতে রাজ্য সরকার সফল হবে।
সাংবাদিক বৈঠকে বঙ্গবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‌আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। ২০০ সেফ হোমে ১১ হাজার বেড রয়েছে। আরও সাড়ে ৪ হাজার বেড বাড়ানো হবে। ৪০০ অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ করছে।’‌ রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, রবিবার ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, নির্বাচনের জন্য বহু ভবন কমিশনের দখলে থাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্যা হচ্ছে। সেজন্য আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বণিকমহলের কাছে সাহায্য চেয়েছি। করোনা রুখতে ভোটপ্রচারে রাশ টানা প্রয়োজন বলে মনে হয়। তাই আমি নিজের ভোটপ্রচার কমিয়ে দিয়েছি। কলকাতায় আমি আর কোনও সভা করব না। শুধুমাত্র ২৬ এপ্রিল শেষ দিনে কলকাতায় আমার একটা সভা রয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌ওয়ার্ক ফর্ম হোমে জোড় দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনটা একদিনে করে নিলে ভালো হত। নির্বাচন প্রক্রিয়াটা যত তাড়াতাড়ি শেষ হবে, তত প্রশাসন ভালো ভাবে কাজ করতে পারবে এই পরিস্থিতিতে। ভোট সামলাবে না কোভিড সামলাবে, কোনটা করবে। ভারতে করোনা সংক্রমণের ব্যাপক বৃদ্ধির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের জনগণকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’‌