করোনা আবহে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গান গাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউন বিধি মেনেই রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করল রাজ্য সরকার। রবীন্দ্র সদনের বাইরের রাস্তায় কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে উপস্থিত ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন। সেখানেই বিকেলে গিয়ে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তিনিই। বাড়ি থেকে অনলাইনে সঙ্গীতশিল্পীরা গানের মাধ্যমে কবিপ্রণামে সামিল হন।
শুক্রবার কলকাতার ক্যাথিড্রাল রোডে বরাবরের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিপ্রণাম হয় একেবারেই অনাড়ম্বরভাবে। পাশাপাশি প্রতি জেলায় নির্বাচিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা সচেতনতা গান ব্যবহার করে ‘কবিপ্রণাম’ কর্মসূচি পালিত হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার ও কমিশনারেটের প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছিলেন শুক্রবার ২৫ বৈশাখ উপলক্ষ্যে আবাসিক এলাকা ও হাউজিং কমপ্লেক্সের কাছে রবীন্দ্রনাথের কাটআউট নিয়ে ছোট ট্যাবলো বের করতে হবে পুলিশকে। বিভিন্ন এলাকায় সেই ট্যাবলো বেরোয়।
বিনা জনসমাগমেই রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউন বিধি মেনে রাজ্যের ১৬ জন শিল্পী নিজের নিজের বাড়ি থেকে গান গেয়েছেন। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যাওয়ার উপায় ছিল না। রবীন্দ্র সদনে হল না চিরাচরিত অনুষ্ঠান। এমনকী পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রজয়ন্তী আয়োজনের সুযোগ নেই। বাঙালি এই প্রথম পুরোপুরি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করে রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন করল। নির্বাচিত কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যবহার হয় ওই ট্যাবলোর সঙ্গে। করোনাভাইরাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা সচেতনতা গানটিও ব্যবহার করা হয়। আর বাকি কবিপ্রণাম হয় আজ ফেসবুক, জুম ভিডিও, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারেই।