দেশের অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। অথচ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে করোনার জীবনদায়ী ওষুধ বলে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুর্গাপুর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাকে প্রধানমন্ত্রীর করোনা বৈঠকে ডাকা হয়নি। বৈঠকে ডাকলে অবশ্যই যেতাম। আমি শুনেছি, যে দশটা রাজ্যে করোনা বেশি হয়েছে, তাঁদের ডাকা হয়েছে।’ তিনি এদিন ফের একবার কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করলেন।
এদিন দুর্গাপুরের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বলেন, ‘কমিশন শেষ মুহূর্তে সমস্ত প্রচার বাতিল করেছে। সবটাই বিজেপির কথা শুনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সভা ছিল বলেই পরে প্রচার বন্ধের ঘোষণা করেছে কমিশন। কমিশনের উচিত ছিল পাঁচ দফায় ভোট করা। বাংলা দখল করতে এসে বিজেপি আমাদের করোনা সংকটে ফেলেছে।’
বাংলায় চারটি সভা বাতিল করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল টুইট করে তিনি জানিয়েছিলেন, কোভিড পরিস্থিতির পর্যালোচনায় শুক্রবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে থাকব। তাই পশ্চিমবঙ্গে যাব না। এদিন দিল্লিতে যখন বৈঠক চলছে, তখন দুর্গাপুরে ভার্চুয়ালি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, ‘আজকে বোধহয় উনি কোনও মিটিং করছেন। আমি শুনেছি। আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ পেলে নিশ্চয়ই যেতাম।’
